সোশ্যাল মাধ্যমে একটি পোস্টকে ঘিরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কলকা🅘তা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল🎃র ছন্দা সরকার। শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থান থেকে সরে আসলেন তৃণমূল কাউন্সিল। তিনি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবেন না, কারণ বিরোধী দলনেতা এই পোস্ট নিয়ে পরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তবে তৃণমূল কাউন্সিলর এভাবে মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও পিছিয়ে যাওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পাল্টা ছন্দা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও জোরদার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: সুকান্তর বাড়িতে ‘মন কি বাত’ শুনলেন শুভেন্দু,বঙ্গে এসেছেন শা🥂হ, এখন দুজনে ভাই-ভাই
জানা গিয়েছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, বেহালা সরশুনা এলাকার কাউন্সিলর ছন্দা সরকার একজন প্রোমোটারের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করছেন। আর সেখানে ছন্দা সরকারকে টাকা চাইতে দেখা যায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, এক লক্ষ টাকা দিলেই প্রোমোটার কাজ শুরু করতে পারবেন। শুভেন্দু অধিকারী সেই ভিডিয়ো ( সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজনীতিতে। এর পরেই ছন্দা সরকার বলেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের ভিডিয়ো পোস্ট তাঁর সম্মানহানি করেছে। কোনওরকꦚম সত্যতা যাচাই না করেই তিনি ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাই তিনি শুভেন্দুꦍ অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবেন।
তিনি আরও বলেছিলেন, দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। তাছাড়া কে ভিডিয়ো করেছে তার সামনে আনার জন্যও শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ⛄ছুঁড়ে দেন কাউন্সিলর। তবে নিজের দাবিতে অনড় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনেও তিনি সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘তৃণমূল মানেই চোর।’
এদিকে নিজের অবস্থান থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ছন্দা সরকার বলেছেন, যে একটি ভিডিয়ো 🦩প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী এই পোস্টের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তাই তিনি নিজের সিদ্ধান্ত থেক🧔ে সরে আসছেন। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবেন না।
যদিও শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিনি সোশ্যাল মাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করে কোনও পোস্ট করেননি। তাছাড়া এমন কোনও মন্তব্যও করেননি। পাল্টা🍷 তিনি জানিয়েছিলেন, তৃণমূল কাউন্সিলর যদি মামলা করেন তাহলে তিনি আইনি পথেই তার জবাব দেবেন। বিজেপির বক্তব্য, বিরোধী দলনেতার ভিডিয়োটি পোস্টটি সত্যি বলেই তৃণমূল কাউন্সিলর পিছিয়ে গিয়েছেন।