ডাক্তারি 'ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার চল শুরু হয়েছিল' - বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাস𝔉পাতাল থেকেই পড়াশোনা করেছিলেন (১৯৮৪ সালে MBBS)। যে হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে। আর সেই কাকলি রবিবার বলেন, ‘নিজের মন্তব্যের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমার কোনও কথায় যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগে, তাহলে আমি ক্ষমা 🥂চাইছি। আমি আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। চিরকালই আমি মহিলাদের কল্যাণ এবং অধিকারের পক্ষে সওয়াল করে এসেছি।’ তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি।
কাকলি ঠিক কী বলেছিলেন?
গত শুক্রবার সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের অনুষ্ঠানে কাকলি বলেছিলেন, ‘কেউ রাতে কাজ করতে-করতে বিছানা নেই বলে ম𒀰াটিতে শুয়ে পড়ছে। এটা ডাক্তাররা ছাড়া আর কেউ করেন না। সেটা হচ্ছে আমি পাশ করার ২৫ বছর পরে। কিন্তু আমি সেদিনও বলেছি যে ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'যার 🙈আমি তীব্র নিন্দা করি,🦩 ঘৃণা করি। আমার ছেলেরা নিন্দা করেছে বলে তাদের কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কিন্তু আজ প্রথিতযশা চিকিৎসক এখানেই। কিন্তু সেই যে কোলে বসে পরীক্ষার বিষয়টা যে এই জায়গায় এসে দাঁড়াবে যে উৎকোচ নিয়ে পরীক্ষায় পাশ করানো হবে বা কারও থিসিস আটকে রাখা হবে, যদি সে মুখ খুলতে সাহস দেখায়। এতটা আমি ভাবতে পারিনি।’
‘অসম্মানজনক এবং নিন্দনীয়’ মন্তব্য কাকলির
সেই মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন চিকিৎসকদের একাংশ। ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির রাজ্য শাখার তরফে কাকলির 🐻বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে নালিশ জানানো হয়। ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির রাজ্য শাখার তরফে জানানো হয়, কাকলি যে মন্তব্য করেছেন, তা একেবারে রুচিহীন, অসম্মানজনক এবং নিন্দনীဣয়।
‘মহিলা চিকিৎসকদের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে’
সেইসঙ্গে অভিযোগপত্রে ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির রাজ্য শাখার তরফে জানানো হয়, মহিলা চিকিৎসকদের যোগ্যতা, পেশাগত দায়বদ্ধতা এবং কঠোর পরিশ্রমকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ওই মন্তব্য। সেই পরিস্থিতিতে কাকলিকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। সেইসঙ্গে কাকলির থেকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য়পদ কেড়ে নেওয়ারও আর্জি জানানো হয়। তারপরই ক্ষমা চাই💦লেন তৃণমূল সাংসদ।