পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা সা𒆙ইবার জালিয়াতদের হাতানোর ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বাংলার নানা জেলার একাধিক স্কুলের অভিযোগ, পড়ুয়াদের বদলে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে সরকারি ট্যাব কেনার টাকা। এই আবহে সরকারি যে কোনও প্রকল্পের টাকা সুরক্ষিত রাখতে চায় রাজ্য সরকার। যাতে সেই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ট্যাবের টাকা দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এই টাকাই হ্যাক করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এই জালিয়াতি করার ক্ষেত্রে স্কুলের একাংশ শিক্ষক এবং কর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অনেকে গ্রেফতারও হয়েছে। জালিয়াতির নেপথ্যে জামতাড়া গ্যাংয়ের যোগসাজশ আছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোয়েন্দা বিভাগ এই তথ্য মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, ‘মানুষের জন্য বরাদ্দ অর্থের যাতে কোনওভাবেই অপব্যবহার না হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করওতে চাই।’ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ট্যাব দুর্নীতিতে জামতাড়া গ্যাংয়ের কারসাজি আছে বলে জানান তিনি। এসಌব রুখতে বিশেষ মেকানিজমের মাধ্যমে নয়া আইনের ভাবনা আছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ধান কেনার ক্ষেত্রে কারচুপি হচ্ছে অভিযোগ বায়রনের, তদন্তের নির্দেশ দিলেন মমতা
এই পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য শিক্ষা দফতর এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেয়। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের নানা জেলার স্কুলগুলি থেকে অভিযোগ আসে ট্যাবের টাকা পড়ুয়াদের বদলে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। বহু জেলা থেকে আসে অভিযোগ। তদন্তে নেমে ‘সাইবার হানা’ দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে তদন্তকারীদের। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি প্রকল্পের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠানোর তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। এই ঘটনায় একাধিকজন গ্রেফতার হয়েছে। আজ ট্যাব কেলেঙ্কারির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাইকে সরল মনে বিশ্বাস করি। কিন্তু সবাই সমান নয় বলেই আইন কর🙈া। আমরা ধরতে পেরেছি জামতাড়া গ্রুপ ট্যাবের টাকা হ্যাক করছে। ১৬০০ কোটি টাকা আমরা খরচ করেছি পড়ুয়াদের ট্যাব দিতে। এবার একটা মেকানিজম করছি যাতে এই জ🎃িনিস করলে কঠোর শাস্তি হবে। গুজরাটে এই দুর্নীতি হয়েছে। কান টানলে মাথা আসে।’