শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা পেসার মহম্মদ শামি। গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপে একেবারে তুখোড় ফর্মে ছিলেন এই ভারতীয় পেসার। ভারতকে ফাইনালে তোলার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। চোট নিয়েই এই বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের পরপরেই তাঁকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। এর পর দীর্ঘ দি🍸নের রিহ্যাব কাটিয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি বোলিং অনুশীলন শুরু করেছেন তারকা। এমন আবহে তাঁর জীবনের এক অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গোপন তথ্য সামনে এনেছেন তাঁর খুব কাছের বন্ধু। শামির সঙ্গে তাঁর স্ত্রী হাসিন ꦉজাহানের দীর্ঘদিন সম্পর্কের টানাপোড়েন চলেছে। আর এই সময়েই নাকি তারকা ভারতীয় পেসার ১৯ তলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন!
আরও পড়ুন: পালটা গালি দেবে তোꦅমরাও… একেবারে অন্য মেজা♏জের দ্রাবিড়কে প্রকাশ্যে আনলেন অভিষেক শর্মা
একটা সময়ে শামির বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ এনেছিলেন হাসিন জাহান। তাঁর দাবি ছিল, শামি নাকি কোনও এক পাকিস্তানি মহিলার থেকে অর্থ নিয়ে ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন। এই ঘটনা বেশ প্রভাব ফেলেছিল শামির মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে। সম্প্রতি এইসমস্ত নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন মহম্মদ শামির খুব কাছের বন্ধু উমেশ কুমার। তিনি শুভঙ্কর মিশ্রের পডকাস্টে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। উমেশ বলেছেন, ‘শামিকে সেই সময়ে কার্যত সব কিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছিল। সেই সময়ে ও আমার সঙ্গে আমার ꦬবাড়িতে থাকছিল। কিন্তু যখন ওই ম্যাচ গড়াপেটার গল্পটা সামনে আসে , ওর বিরুদ্ধে ওই রাতেই তদন্ত হয়। ও খুব ভেঙে পড়েছিল। শামি বলেছিল আমি সমস্ত কিছু সহ্য করে নিতে পারি, কিন্তু কখনও আমার দেশের সঙ্গে গদ্দারি করার কথা ভাবতেও পারি না। দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আমি কোনও দিনও মেনে নিতে পারিনি, আর পারবও না।’
আরও পড়ুন: তিন-চার ওভারের পর… অক্ষরকে নিয়ে সূর্য🥀ের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেল ক্যামেরায়- ভিডিয়ো
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সেই সময়ে খবরেও এসেছিল যে, শামি ওই রাতেই হঠকারী পদক্ষেপ (আত্মহত্যার চেষ্টা) নিতে গিয়েছিলেন। তখন মনে হয়, ওই ভোর চারটে বাজে। আমি জল খেতে উঠেছিলাম। আমি রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিলাম। আমি তাকিয়ে দেখি শামি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমরা ১৯ তলায় থাকতাম তখন। আমি বুঝতে পারি, কী হয়েছে। কী ভাবনা চিন্তা করছে শামি। আমি মনে করি, শামির কেরিয়ারে ওই রাতটা ছিল দীর্ঘতম রাত। এর পর এক দিন আমরা নিজেদের ম😼ধ্যে আলোচনা করছিলাম। সেই সময়ে ওর ফোনে একটা মেসেজ আসে। সেই মেসেজে লেখা ছিল, ও কমিটির থেকে ক্লিনচিট পেয়েছে। ওই ম্যাচ গড়াপেটার বিষয়টি নিয়ে যে কমিটি তদন্ত করছিল, তারা ওকে নির্দোষ বলে। সেই দিনটা আমার মনে হয়, ও বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও বেশি আনন্দ পেয়েছিল। আমার মনে হয়, যখন তুমি জান যে, অন্য ব্যক্তি সত্যি কথা বলছে না, তখন সেই কথাকে অগ্রাধিকার দিতে নেই। সেদিন আমি ওকে একটাই বার্তা দিয়েছিলাম, মাথা উঁচু করে লড়াই করার কথা বলেছিলাম।’