দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ জিতে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ পকেটে পুড়েছে ভারত। শুক্রবারের ম্যাচে সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক বর্মার দাপটে দিশেহারা হয়ে যায় প্রোটিয়া বোলাররা। দু’জনেই নিজের শতক পূর্ণ করেন, এনিয়ে লাগাতার দুই ম্যাচে শতক লাগিয়েছেন তিলক। ম্যাচে ১৩৫ রানে জয় পায় টিম ইন্ডিয়া, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সর্বাধিক রানে জয়ের রেকর্ড তৈরি করেছে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল ভারতের দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন এবং অভিষেক শর্মা। তবে ১৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এরপরে ব্যাট করতে আসেন তিলক বর্মা। আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু করেন তিনি। মাত্র ৪৭ বলে ১২০ রান করেছিলেন তিলক। অন্যদিকে গত ২টি টি-২০ ম্যাচে ০ রানে আউট হলেও এদিন দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করেন সঞ্জু স্যামসন। তিনি মাত্র ৫৬ ব♑লে ১০৯ রান করেছিলেন। দুই ব্যাটসম্যানই শুক্রবারের ম্যাচে অপরাজিত ছিল🍨েন।
এদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান তোলে ইন্ডিয়া, যা তাদের ভারতের বাইরে করা টি-২০ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ টোটাল রান। শেষ ৫টি টি-২০ ম্যাচে সঞ্জু ৩টিতে শতরান করেছেন। যা এই ব্যাটসম্যানের ভালো ফর্মকে ইঙ্গিত করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তেমন খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। খেলা দেখে মনে হচ্ছিল দু’দল সম্পূর্ণ আলাদা দুটি পিচে ব্যাট করছে হয়তো। প্রথমেই তাড়াতাড়ি ২টি উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। একমাত্র ত্রিস্তান স্টাবস (৪৩), ডেভিড মিলার (৩৬) এবং মার্কো জানসেন (২৯) কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এত বড় রানের পাহাড়ের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার যেকোনও লড়াই কম পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত ১৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় প্🐻রোটিয়ারা। ভারতের হয়ে বল হাতে ৩টি উইকেট নেন আর্শদীপ সিং। ২টি করে উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী এবং অক্ষর প্যাটেল। একটি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া, রমনদীপ সিং এবং রবি বিষ্ণোই।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত টি-২০ বিশ্বকাপ সহ ২০২৪-এ একটিও টি-২০ সিরিজ হারেনি ভারত। জুন মাসে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েই ট্রফি ঘরে তুলেছিল হার্দিক-সূর্যরা। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরেও টি-২০ সিরিজে জয় পেয়েছিল সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন নতুন টিম ইন্ডিয়া। গতমাসে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও টি-২০🐽 সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ভারত। এবার ঘরের বাইরে চ্যালেঞ্জটা একটু কঠিন ছিল। তবে শে✨ষ পর্যন্ত লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করলেন সঞ্জু-তিলকরা।