বিশ্বকাপ জিতে ফেরার সময় বিমানে ঠিক কী হয়েছিল? নিশ্চিতভাবে প্রত্যেক ভারতীয় সেটা জানতে চান। প্রায় সকল ক্রিকেট ফ্যানের কাছেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে বার্বাডোজ থেকে নয়াদিল্লির বিমানের সেই ১৬-১৭ ঘণ্টা। আর ওই দীর্ঘ বিমানযাত্রায় কী কী হয়েছিল, সেরকমই কয়েকটি মজাদার কাহিনী শোনালেন সঞ্চায়ক যতীন সাপ্রু। যিনি নিজেও ওই বিমানে করে আসছিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসের সঞ্চালক সাপ্রু জানান যে ওই বিমানে এমন চেঁচামেচি হচ্ছিল যে একটু ঘুমোনোর জন্য ভারতীয় দলের (তৎকালীন) হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে বিজনেস ক্লাস ছেড়ে ইকোনমি ক্লাসে চলে আ🌳সতে হয়েছিল। আবার বিমানের মধ্যেও ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে একেবারে চেনা ছন্দে দেখা গিয়েছিল। মজা করে রোহিত কাউকে একজন বকা দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাপ্রু। বিন্দাস মুডে সকলকে আড্ডা দিতে দেখেছিলেন। সকলে মিলে আনন্দ করছিলেন। কথা বলছিলেন। মেরেকেট কয়েক ঘণ্টাই ঘুমিয়েছিলেন।
দ্রাবিড়ের ‘ইকোনমি’ ঘুম
সাপ্রু বলেন, ‘বার্বাডোজ থেকে দিল্লির বিমানে কেউ ছ'ঘণ্টার বেশি ঘুমিয়েছেন বলে আমার মনে হয় না। কেউ যদি সবথেকে বেশি ঘুমিয়ে থাকেন, সেটা হল ছয় ঘণ্টা। কোনও সময় কেউ চুপ করে ছিলেন না। প্রত্যেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কথা বলছিলেন। সাংবাদিক এবং অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন♉ খেলোয়াড়রা। স্টার স্পোর্টসের ইঞ্জিনিয়াররাও বিমানে ছিলেন। কারণ তাঁদের বিমানও বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আর তাঁদেরওܫ বিমানে ওঠানো হয়েছিল।'
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থার সঞ্চালক বলেন, '(বার্বাডোজ থেকে দিল্লিতে আসার) বিমানের মধ্যে প্রচুর কথাবার্তা হচ্ছিল। এক💙াধিকবার আসেন রোহিত শর্মা। একটা সময় রাহুল দ্রাবিড় ইকোনমি ক্লাসে চলে আসেন। দেখতে থাকেন যে চারটি আসন আছে কিনা। কারণ উনি একটু ঘুমোতে চাইছিলেন। বিজনেস ক্লাস থেকে (ইকোনমি ক্লাসে এসে উনি) কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিয়েছিলেন।’
রোহিতের বকুনি কাণ্ড
সাপ্রু বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমি বিমানে ঘুমোচ্ছিলাম। আমি আচমকা শুনত🅘ে পাই যে কোনও একজনকে বকুনি দিচ্ছেন রোহিত। আমি চোখ খুলে দেখি যে উনি ঠিক ওখানেই (সামনের দিকে বোঝাতে চেয়েছেন) দাঁড়িয়ে আছেন। তারপর হার্দিক (পান্ডিয়া) এলেন। ঋষভ (পন্ত) এলেন। ওঁরা সকলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তাই বেশ বকবক চলছিল।’𝐆
তারপর যা হয়েছিল, সেটা তো ইতিহাস
দীর্ঘ ১৬-১৭ ঘণ্টার বিমানযাত্রার পরে টিম ইন্ডিয়া যখন দিল্লিতে নেমেছিল, তখন অভূতপূর্ব অভ্যর্থনা পেয়েছিল। প্রথম দিল্লির টিম হোটেলে এসেছিল। তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। তারপর মুম্বইয়ে উড়ে গিয়েছিলেন রোহিত, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহ𒁃। 🅠আর সেখানে ভিকট্রি প্যারেডে ভালোবাসায় ভেসে গিয়েছিলেন।