শুভব্রত মুখার্জি: পাকিস্তান সুপার লিগ অর্থাৎ পিএসএলের ফাইনালে ১৮ মার্চ মুখোমুখি হয়েছিল মুলতান সুলতান্স এবং ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। করাচির ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। মহম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন মুলতান সুলতান্স দল গ্রুপ পর্যায়ে শীর্ষে শেষ করে। এরপর তারা বাবর আজমের পেশোয়ার জালমিকে হারিয়ে ফাইন🐟ালে♓র টিকিট নিশ্চিত করে। অন্যদিকে শাদাব খানের নেতৃত্বাধীন ইসলামাবাদ দল তাদের পরপর দুটি এলিমিনেটর ম্যাচ জিতে পৌঁছে যায় ফাইনালে।
শক্তির নিরীখে প্রায় কাছাকাছি থাকা দুই দলের মধ্যে এক টানটান উত্তেজনার লড়াইয়ের সাক্ষী থাকলেন সমর্থকরা। যেখানে দিন শেষে শেষ হাসি হাসল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। একেবারে শেষ বলে জয় ছিনিয়ে নিল তারা। এদিনের ম্যাচে ইসলামাবাদ🔯ের হয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে নায়ক হয়ে গেলেন নিঃসন্দেহে ইমাদ ওয়াসিম।বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে নজির গড়ার পরে ব্যাট হাতে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চ🐲িত করেন তিনি।
এদিন ম্যাচে প্রথম ব্যাট করতে নামে মুলতান সুলতান্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে তারা। মুলতানের ইনিংসের সূচনা এদিন একেবারেই ভালো হয়নি। মাত্র ১৪ রানে তারা হারায় দুটি উইকেট। ইয়াসির শাহ এবং ডেভিড উইলি আউট হয়ে যান জলদি। এরপর ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান এবং উসমান খান। তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন তাঁরা। মহম্মদ রিজওয়ান আউট হয়ে যান ২৬ ব🍰লে ২৬ রান করে। দলের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ রান করেন উসামা মির। ৪০ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ৭টি চার এবং ১ টি ছক্কা দিয়ে। ইনিংসের শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন ইফতিকার আহমেদ। মাত্র ২০ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে লড়াইয়ের জায়গাতে পৌঁছে দেন এই হার্ডহিটার ব্যাটার। এদিন বল হাতে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম। ঘটনাচক্রে পিএসএলের ফাইনালের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ইমাদ পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন এদিন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে ইসলামাবাদ𒐪। তবে দলীয় ২৬ রানের মাথায় তারা হারান প্রথম উইকেট। আউট হন কলিন মুনরো। অপর ওপেনার মার্টিন গাপটিল ৩২ বলে করেন ৫০ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল চারটি চার এবং তিনটি ছয় দিয়ে। দলের হয়ে ফাইনালে এদিন সর্বোচ্চ রানও করেছেন তিনি। ব্যাট হাতে নজর কাড়তে ব্যর্থ হন অধিনায়ক শাদাব খান। মাত্র চার রান করেছেন তিনি। এছাড়াও আজম খান করেছেন ৩০ রান। একটা সময়ে ১০২ রানে চার উইকেট থেকে হঠাৎ করেই ৭ উইকেটে ১২৯ রান হয়ে যায় ইসলামাবাদের স্কোর। এই সময়ে চেপে ধরেছিলেন মুলতান সুলতান্সের বোলাররা। খুশদিল শাহ এবং ইফতিকার আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়ে ইসলামাবাদকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন।
এরপর অষ্টম উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ৩০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে🧔 লড়াইতে ফেরান ইমাদ ওয়াসিম এবং নাসিম শাহ। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগের বলে ৯ বলে ১৭ রান করে আউট হন নাসিম।ম্যাচে তখন ইসলামাবাদের জয়ের জন্য ১ বলে বাকি ছিল ১ রান। এমন অবস্থায় নন স্ট্রাইকার প্রান্তে ইমা🌱দ ওয়াসিম ১৭ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ব্যাট করতে নেমে নিজের প্রথম বলেই চার মেরে হুনাইন শাহ দলকে এক রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন। দুই উইকেটে ফাইনাল জয় নিশ্চিত করে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।