ঝাড়গ্রামের একটি বুথে প্রত্যেকবার ভোট দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এখন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল দিলীপবাবুর এই বুথে প্রার্থীই দিতে পারল না বিজেপি। ফলে সেখানে বিজেপি প্রার্থী নেই।♓ সেক্ষেত্রে বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ কাকে ভোট দেবেন? নাকি গণতন্ত্রের এই উৎসব থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে অঙ্ক যে তাঁর কাছে কঠিন হয়𒀰ে দেখা দিল তা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে দিলীপ ঘোষ ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামꦗের বাসিন্দা। তিনি মেদিনীপুরের সাংসদও। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৩। এই কুলিয়ানায় দু’টি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে ২৫ নম্বর বুথটি দিলীপ ঘোষের বুথ বলেই সবাই জানে। কারণ সেখানেই ভোট দেন বিজেপি সাংসদ। অথচ এই বুথে বিজেপি প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শু🍨রু হয়েছে। কেন এই বুথে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া গেল না? তা নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না এখন। কুলিয়ানা গ্রামের ১৩টি বুথের মধ্যে শুধু দিলীপ ঘোষের বুথ বাদ দিয়ে বাকি ১২টি বুথেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে ২০১৩ সালে কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু ২০১৮ সালে এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে আট সদস্য বিজেপির এবং একজন তৃণমূল কংগ্রেস ও একজন নির্দল সদস্য রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন ಌএখানে জিতে বোর্ড গঠন করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার ২০২৩ সালের এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি সাংসদের নিজের গ্রামের বুথে দল প্রার্থী দিতে না পারায় গ্রামের মানুষজনের মধ্যে ফিসফাস শুরু হয়েছে। যদিও এখানে কোনও বাধা দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসেনি। বিজেপিও এমন কোনও দাবি করেনি। তাহলে অঙ্কটা কেন এমন দাঁড়ꦺাল? উঠছে প্রশ্ন।