মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হতেই গ্রামবাংলার বেশ কয়েকটি জায়গার ছবি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীরা সময়–সুযোগ পেয়েও প্ওরার্থী দিতে পারেনি। সুতরাং সেই সব গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা অবশ্য দু’দিনে সর্বত্র মনোনয়ন দাখিল💮 করেছে। তাই এখন থেকেই নানা প্রান্তে আবির খেলা থেকে মিষ্টিমুখ করার মতো ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে।
একদা কেষ্টর গড় বীরভূম জেলার একাধিক পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হাসিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। আগেই জেলে থেকে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি একবার বলেছিলেন, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভাল ফল করবে বীরভূমে। তারপর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হতে দেখা গেল, সিউড়ি থেকে নানুর—সর্বত্রই শাসকদলের জয়ের দাপট কায়েম রয়েছে। কারণ এখানে বিরোধীরা প্রার্থীই দেয়নি। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘নানুর ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৩০৬টি আসনের মধ্যে বিরোধীরা মাত্র ২২টিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তাই আমরা নানুরের সব গ্রাম পঞ𓄧্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছি।’
এদিকে রঘুনাথগঞ্জ–২ ব্লকের সেকেন্দ্রা এবং গিরিয়া দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। সুতরাং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবংꦬ তিনটি পঞ্চ♌ায়েত সমিতির আসন গেল তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে। সেকেন্দ্রা অঞ্চলের ২৫টি আসনের মধ্যে ১৭টি আসন পেয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার গিরিয়া অঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়ে🐎তের সব ক’টি ꦰআসন এবং তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে সেখানে এখন খুশির হাওয়া। আবির খেলা থেকে শুরু করে মিষ্টিমুখের পালা চলছে।