আর হাতে বলতে একদিন। তারপরই শুরু হয়ে যাবে পঞ্চম দফার নির্বাচন। সুতরাং সব রাজনৈতিক দলই তুঙ্গে তুলেছে প্রচার। তবে ষষ্ঠ দফায় ভোট আছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহলের। আর এই জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই নিয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালে💫ন বাংলা𒁃র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ঝাড়গ্রামের সভায় গিয়ে সরাসরি সিপিএম–বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এখানেই ঝাড়গ্রামের সভায় যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল ছত্রধর মাহাতোর নাম। যাঁকে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন ছত্রধর।
এই ছত্রধর মাহাতো সাহায্য করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে জঙ্গলমহলে লড়াই–সংগ্রাম এবং আন্দোলন করতে। সেই কথাই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘💙ছত্রধর মাহাতো বহুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়♋েছিল। ২০০৮ সালে সিপিএমের আমলে আমরা ওকে জেল থেকে ছাড়িয়ে ছিলাম। যেদিন আমরা ওকে ছাড়ালাম ঠিক সেদিনই ওকে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি একটা কেস দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। আমি ভুলিনি সেদিনের কথা। আমি প্রথম জঙ্গলমহলে যাঁর হাত ধরে ঢুকি তাঁর নাম ছত্রধর মাহাতো। লালগড়ের ওদিকে চিতামণি নামে এক বয়স্ক মহিলার কান কেটে নিয়েছিল। তিনজনকে গুলি করে মেরেছিল সিপিএমের হার্মাদরা।’
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেয়েই বিধানসভায় হাজির জীবনকৃষ্ণ🎀 সাহা, যোগ দিলেন দুটি 𝄹বৈঠকে
জঙ্গলমহলে বিজেপির সংগঠন তৈরি হলেও দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাঁকুড়া, 💟পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের দাপট বেড়েছে। কারণ এখন আরও মাওবাদীদের হিংসা সেখানে শোনা যায় না। তাই এখানের নির্বাচনী সভা থেকে সিএএ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনি যখন সিএএ আবেদন করবেন আপনাকে বিদেশি বলে বাতিল করে দেবে। যাঁদের ছবি দিয়েছে তাঁদের মধ্যে কিছু আফগান রয়েছে। যাঁদের সঙ্গে বাংলার কোনও সম্পর্ক নেই। পুরো বিষয়টাই মিথ্যা। দেখে মানুষ ভাববে যেন সত্যি। কিন্তু ওটা আসলে মিথ্যা। ভোটের আগে রাজনীতি করছে। ভোটের পরে এলাকা থেকে ওরা তাড়িয়ে দেবে। না হলে জেলে ভরে দেবে। ওদের কোনও গ্যারান্টি নেই।’