ജদিদি নম্বর ১-এর রবিবারের মহাধামাকা এপিসোডের ঘোর এখনও কাটেনি দর্শকদের। ৩রা মার্চ দিদি নম্বর এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নিজের ব্যক্তিগত⭕ জীবন থেকে রাজনীতি, নানা বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে শোনা গিয়েছে আট থেকে আশি সবার দিদিকে।
মমতা এও ফাঁস করেছেন, তিনি নাকি যেচে দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসেছে। বলেছেন,'তোমরা কিন্তু আমাকে প্রোগামটা দাওনি, আমি চেয়ে নিয়েছি'। দিদির এপিসোড সম্প্রচারের ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই নতুন প্রোমো এল সামনে। রচনার আগামী চমক বয়স্ক দিদিরা। বয়স কোনও বাধা নয়, শুধুই একটা সংখ্য়া মাত্র। সে কথা প্রমাণ করে দেন𓃲 বাংলার যে শিল্পীরা তাঁদের নিয়েই জমবে দিদি নম্বর ১-এর আগামির এপিসোড। থাকবেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়া এবং হৈমন্তী শুক্লা।
নব্বইয়ের দশকে দূরদর্শনের পর্দায় সম্প্রচারিত হত ‘জꦿন্মভূমি’। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছোটপর্দায় রাজত্ব করেছিল এই মেগা। সেখানে দাপুটে পিসিমার চরিত্রে সবার মন জিতেছিলেন অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়। এরপর কেটেছে ২৫ বছর! আট দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে চলা মিতা চট্টোপাধ্যায় এখন নবতিপর! হ্যাঁ, এদিন দিদির সামনে নিজের আসল বয়স বলে দিলেন অভিনেত্রী।
রচনা জানতে চান, ‘দিদি তোমার বয়সটা কত হল?’ মুচকি হেসে শান্ত গলায় মিতা দেবী জানান, ‘একানব্বই…’। একথা শুনেই চো🉐খ ছানাবড়া রচনার, হাত দিয়ে মুখ ঢাকলেন তিনি। কপালে হাত ঠেকিয়ে নমস্কার করেন হৈমন্তী শুক্লাও। অন্যদিকে বয়স্ক তকমা মোটেই পছন্দ হল না শকুন্তলা বড়ুয়ার। আশির দোরগোড়ায় তিনিও। এই বয়সেও চুটিয়ে চলছে অভিনয়ের কাজ। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ‘কে বলেছে রে বয়স হয়ে গেছে?’
প্রসঙ্গত, মিতা চট্টোপাধ্যায়ের আসল নাম নমিতা চট্টোপাধ্যায়। কাগজে-কলমে আজও সেই নামই রয়েছে। ১৯৪৪ সালে পুরোদমে কাজ করা শুরু দেন মিতা। এর আগে দিদির মঞ্চে এসে জানিয়েছিলেন, ‘সেইসময় কাগজে ছবি বেরিয়েছিল। পাড়ার সবাই কি ভালোবেসেছিল আমায়’। সাথে জানান অভিনয়ই তাঁর একমাত্র পেশা নয়, বরং নাচ দিয়েই হাতেখড়ি। অল ইন্ডিয়া ডান্স কম্পিটিশ𝓀নে বরাবর ফার্স্ট হয়েছেন। তবে এখন শারীরিক অসুস্থতার জেরে নাচ বাদ পড়েছে জীবন থেকে। ঠিক করে হাঁটতেও পারেন না। তবুও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, 'এখন আর ঠিক করে হাঁটতে পারি না। তবু 𒅌তো আমি চলছি রে মা… এটার জন্যই আমি ভগবানকে ধন্যবাদ জানাই।’