ঘোষিত জ্ঞানপীঠ পুরস্কার-এর তালিকা। উর্দু ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ৫৮তম জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে সম্মানিত হলেন কবি,গীতিকার, পরিচালক গুলজার। শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি জ্ঞানপীঠ কমিটির তরফে এই তালিকা সামনে আনা হল। গুলজার ছাড়াও দেশের সাহিত্য ক্ষেত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাচ্ছেন সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্য। আরও পড়ুন-কলকাতাবাসীকে ফুসলাচ্ছো, অভিযোগ শুভদীপের 🎶নামে, সবটাই TRP-র জন্য নাটক? শ্রেয়াকে প্রশ্ন রজত শর্মার
জ্ঞানপীঠ কমিটির তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘কমিটির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের জন্য এই🌊 সম্মান♌ দুই বিখ্যাত লেখককে দেওয়া হবে। সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্য এবং উর্দু সাহিত্যিক গুলজারকে’।
বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উর্দু কবি গুলজার। হিন্দি চলচ্চিত্রেও তাঁর অবদান অপরিসীম। তাঁর আসল নাম সম্পূরণ সিং কালরা (Sampo𒁃oran Singh Kalra)। দীর্ঘ কেরিয়ারে গুলজারের ঝুলিতে রয়েছে অগাধ পুরস্কার। ২০০২ সালে সাহিত্য অকাদেমি সম্মান পান তিনি, ২০১৩ সালে দাদাসাহেব ফালকে, ২০০৪ সালে পদ্মভূষণও পেয়েছিলেন। গুলজারের নামের পাশে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। স্লামডগ মিলিয়নিয়র ছবির জয় হো গান লিখে অস্কারও পেয়েছেন ꧟তিনি। এত সম্মান সত্ত্বেও থামতে শেখেননি ‘মেরা কুছ সামান’-এর রচয়িতা গুলজার। ৮৯ বছর বয়সেও অব্যাহত তাঁর কলমের জাদু।
শুধু গীত🅷িকার বা কবি হিসাবেই নয়, পরিচালক হিসাবেও দর্শক মনে নিজের ছাপ রেখেছেন গুলজার। তাঁর পরিচালনায় তৈরি ছবিগুলির অন্যতম 'মাচিস', 'আঁধি', 'পরিচয়', ‘ইজাজতে’।
জ্ঞানপীঠ সম্মানের অপর প্রাপক জগদ্গুরু রা⛎মভদ্রাচার্য চিত্রকূটে তুলসি পীঠের প্রতিষ্ঠা করেন। এই আধ্যাত্মিক গুরু সংস্কৃত পণ্ডিত তথা লেখক হিসেবেও প্রসিদ্ধ তিনি। শতাধিক বই লিখেছেন তিনি। ২০১৫ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্য। ২২টি ভাষায় পরাদর্শী এই ধর্মগুরু।
১৯৪৪ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কারের সূচনা হয়েছিল। প্রতি বছর দেশের সাহিত্যক্ষেত্রের 🦩বাছাই করা ব্যক্তিত্বদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কোনও সংস্কৃত পণ্ডিত জ্ঞানপীঠ পাচ্ছন। পঞ্চম উর্দু সাহিত্যিক হিসাবে এই সম্মান পেলেন গুলজার। জ্ঞানপীঠ প্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সরস্বতীর মূর্তি এবং স্বীকৃতিপত্র ও ২১ লক্ষ টাকার চেক।