শ্রীলেখা মিত্র মানেই সোজাসাপটা। মনের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরতে কোনওদিন কুণ্ঠাবোধ করেন না তিনি। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়েও প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে দু-বার ভাবেন না। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে ✱শাসকদলকে একহাত নিয়েছেন বাম-মনস্ক শ্রীলেখা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষের সঙ্গে শ্রীলেখার তরজা নজর এড়ায়নি কারুর। কুণাল ঘোষকে পৃথিবীর ‘অতিরিক্ত বোঝা’ বলেছিলেন শ্রীলেখা। এরপর তৃণমূল মুখপাত্র পালটা ১৭ বছরের এক পুরোনো ঘটনাকে ‘বিকৃত করে’ খোঁচা দেন শ্রীলেখাকে। সেই ন🃏িয়েই পালটা সরব হন অভিনেত্রী। এবার তাঁর নিশানায় কলকাতার ๊মেয়র তথা মমতার একনিষ্ঠ সৈনিক ফিরহাদ হাকিম।
ফেসবুকে ফিরহাদ হাকিমের একটি ক্লিপিং তুলে ধরেছেন শ্রীলেখা। সেখানে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) কলকাতার মেয়রকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘দুই চব্বিশ পরগণাতে মারাত্মকভাবে ঝড় আসবে, কলকাতায় ঝড়টা ৯০ মিলিলিꦆটার…’। ১৫ সেকেন্ডের সেই ভাইরাল ভি🦂ডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) তুলে ধরে ফিরহাদ হাকিমকে খোঁচা দেন অভিনেত্রী।
তিনি লেখেন, 'কুইন্টাল থেকে মিলিলিটꦰার (নিজে একটু ডাউটফুল ছিলেন যদিও), যাই হোক ব্যাপারটা হল আমরা হাসবো, জাহির করব আমরা কতটা জানি, তরপর আবার হেসে এই অশিক্ষিতদের মন্ত্রী বানাব… জয় বাংলা… এদের নেতৃত্বে ওয়েস্ট বেঙ্গল আজ বরবাদ বাংলা (wastebengal)-য় পরিণত হয়েছে। এ রাজ্যে শিক্ষা নেই, চাকরি নেই, মেডিক্যাল সুব্যবস্থা নেই। বিচার নেই… ছাড়ুন… বড্ড ক্লান্ত হয়ে গেছি'।
ঝড়ের গতিবেগ মাপার একক মূলত কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। সেখানে ওই ভাইরাল ভিডিয়োতে মন্ত্রীকে দে🥀খা গিয়েছে মুখ ফসকে ‘মিলিলিটার’ বলে ফেলতে। তবে এই ছোট্ট ভুলের জন্যই তাঁকে খোঁচা দিতে ভুললেন না শ্রীলেখা। টেনে আনেন রচনারꦅ ‘কুইন্টাল কুইন্টাল’ জল মন্তব্যকেও।
গত মাসে বলাগড়ে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছেছিলেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানেই কিউসেকের জায়গায়, জলের একক হিসাবে কুইন্টাল বলে ফেলেছিলেন সাংসদ। তখনও রীতিমতো রচনার দিদিমণি হয়ে শ্রীলেখা পাঠ দিয়েছিলেন। জানিয়ে♚ছিলেন, 'এক কুইন্টাল = ১০০ কেজি, এমনি বললাম'।
শুক্রবারই হুঁশিয়ারির সুরে শ্রীলেখা জানিয়েছেন, তাঁর কোনও ক্ষতি হলে সেই দায় এড়াতে পারবেন না কুণালবাবুরা। তাঁর কথায়, 'শুধু খারাপ লাগে এজন্যই যে নিজেকে বাম বলে পরিচয় দিয়েও কেউ কেউ তো কুণালবাবুকে সোশ্যাল প্রেস্টিজ দিচ্ছেন- কুণালবাবুর মতো মানুষের এতোটা বাড়ের কারণ তো সেটাও! তবে, আমার আত্মীয়-স্বজন, পরিচিত এবং শুভানুধ্যায়ীদের জানিয়ে রাখতে চাই যে আমায় যদি কলকাতা বা এই রাজ্যের অন্য কোথাও, এমনকি রাজ্যের বাইরেও কোনোরকম অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় বা কোনো বিপদে পড়তে হয়, কোনও ꦑক্ষতি হয়, তার দায় কুণালবাবুরা কিন্তু এড়াতে পারবেন না। এই স্টেটমেন্ট আমার দেওয়া রইলো'।