ছত্তিশগড়-তেলাঙ্গানা সীমান্তে অবস্থিত বিজাপুরের কারেগুট্টা পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে চলছে দেশের সবচেয়ে বড় মাওবাদী বিরোধী অভিযান। ইতিমধ্যে ছত্তিশগড়, তেলাঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্র থেকে আসা ২০ হাজারেরও বেশি যৌথ বাহিনী মাওবাদীদের ঘেরাও করেছে। যৌথ বাহিনীর ক্রমাগত পদক্ষেপে পিছিয়ে পড়তেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে মাওবাদীরা।এই আবহে ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেপুটি সরপঞ্চকে খুনের অভিযোগ উঠেছে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-মাওবাদী নির্মূলে সবচেয়ে বড় অভিযান! আইইডি বিস্ফোরণে পা খোয়ালেন সিআরপিএফ অফিসার
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বিকেল ৩টের দিকে জাগারগুন্ডা থানার সীমানার অন্তর্গত বেনপল্লী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম মুচাকি রামা। সুকমার এসপি কিরণ চবন জানিয়েছেন, বিকেলে বাড়িতেই ছিলেন মুচাকি রামা। সেই সময় গ্রামবাসীর ছদ্মবেশে একদল মাওবাদী এসে রামাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তেরলাগুড়া সংলগ্ন বেনপল্লী বনে নিয়ে যায়।সেখানেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে খুন করে মাওবাদীরা। খুনের পর মাওবাদীরা মৃতদেহ জঙ্গলে ফেলে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।গ্রামবাসীরাই পুলিশকে খবর দেয়। খবর পাওয়ার পরই পুলিশ বেনপল্লী জঙ্গলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে মাওবাদীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। আশেপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক যৌথ বাহিনী মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন-মাওবাদী নির্মূলে সবচেয়ে বড় অভিযান! আইইডি বিস্ফোরণে পা খোয়ালেন সিআরপিএফ অফিসার
'পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও...', রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে নিরুৎসাহ শশী
পুলিশ জানিয়েছে, এই নিয়ে চলতি বছর সুকমা-সহ সাতটি জেলা নিয়ে গঠিত বস্তার বিভাগের ৯ জনকে খুন করেছে মাওবাদীরা।গত বছর বাস্তার অঞ্চলে মাওবাদী হামলায় পৃথক ঘটনায় ৬৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদিকে, বস্তারে নকশাল বিরোধী অভিযান চলছে। গত ২১ এপ্রিল থেকে কারেগুট্টা পাহাড় এলাকায় শুরু হয়েছে মাওবাদী দমন অভিযান। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী কোবরা’র পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের সশস্ত্র পুলিশ ও ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলাঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী রয়েছে অভিযানকারী দলে।এই অভিযানের লক্ষ্য হল দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটি, তেলাঙ্গানা স্টেট কমিটি, পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি ব্যাটালিয়ন নম্বর ওয়ান এবং অন্যান্য মাওবাদী গোষ্ঠীগুলির প্রভাব দূর করা, যারা এই অঞ্চলকে চরমপন্থী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।বেশ কয়েক জন মাওবাদী প্রাণভয়ে পালালেও এখনও কেউ আবার পাল্টা প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনা করছেন।