'রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব পাস করবে না।' পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রসংঘের কূটনীতিক শশী থারুর। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলার পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বাড়ছে। ভারতের অভিযোগ, ওই ঘটনায় ইসলামাবাদের যোগ রয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।সূত্রের খবর, পরিষদের সদস্যরা পাকিস্তানের কাছে কঠিন প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ নিরাপত্তা পর𒈔িষদের বাস্তব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন।
এএনআই-কে প্রাক্তন রাষ্ট্রসংঘের কূটনীতিক শশী থারুর বল𓃲েন,নিরাপত্তা পরিষদ ভারত বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব পাস করবে না। তাঁর কথায়, 'আমি নিশ্চিত যে নিরাপত্তা পরিষদ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব পাস করবে না, কারণ চিন তাতে ভেটো দেবে। একইভাবে তারা আমাদের সমালোচনা করে কোনও প্রস্তাব পাস করবে না, কারণ অনেক দেশ তাতে আপত্তি জানাবে এবং সম্ভবত ভেটো দেবে। বৈঠকের ফলাফল হবে সাধারণভাবে শান্তির আহ্বান এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের মতো কিছু অস্পষ্ট ভাষা।' তিনি আরও বলেন, 'এটাই দুঃখজনক বাস🦹্তবতা যে এই ধরনের বৈঠকগুলো এভাবেই কাজ করে।'
নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে পাকিস্তানও বৈঠকে উপস্থিত ছিল, কিন্তু ভারত ছিল না। এই প্রসঙ্গে শশী থারুর বলেন, 'এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান হয়তো ভেবেছিল যে তাদের সুবিধা আছে। কিন্তু আমরা যে তথ্য পাচ্ছি, তাতে জানা যাচ্ছে যে বেশ কয়েকটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের কাছে কঠিন প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে লস্কর-ই-তৈবার দায়িত্ব স্বীকারের বিষয়ে।' তবে ত♔িনি স্পষ্ট করেছেন যে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনও উল্লেখযোগ্য ফলাফল আশা করা যায় না। কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, 'রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদকে অত্যন্ত বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ধরনের হ𓆏ামলা ভারতের তরফে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। তাই পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা নিয়ে সদস্য দেশগুলির মধ্যে তীব্র সমালোচনার সুর লক্ষ্য করা গেছে।'
তিনি বলেন, 'নিরাপত্তা পরিষদ হয়তো সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শের পর একটি অনানুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করতে পারে অথবা একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক ▨আহ্বান করতে পারে।কিন্তু কিছু সদস্য দেশ হয়তো বলবে যে, পাকিস্তান এই বিরোধের একটি পক্ষ হওয়ায় শুধুমাত্র তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুনে এবং ভারতের মতামত না শুনে কোন সম্মত অবস্থানে পৌঁছনো ঠিক হবে না। তাই, কিছু সদস্য দেশ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের প্রস্তাব দিতে পারে।'