ছাত্র জনতা অভ্যুত্থানের জেরে গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে মাধ্যমে বিচারের কাঠগড়ায় তুলতে এই মুহুর্তে প্রত্যর্পণের বিষয়ে দিল্লির মুখাপেক্ষী ঢাকা। আগেও ঢাকা জানিয়েছে, 🌺তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে দিল্লিকে চিঠি পাঠিয়েছে। সদ্য বৃহস্পতিবার ফের একবার এই ইস্যুতে মুখ খুলল বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের বিদেশমন্ত্রক।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ঢাকা। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এই বিষౠয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন বলেন, ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে দিল্লির কাছে প্রয়োজনীয় নথি পাঠিয়েছে ঢাকা। তিনি বলেন, তবে এই বিষয়ে ভারত এখনও কোনও উত্তর দেয়নি।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় থেকে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের প্রক্রিয়ায় আনতে মরিয়া চেষ্টায় ঢাকা। এদিকে,সদ্য বাংলাদেশ সাক্ষী থেকেছে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ তে শেখ মুজিবর রহম🍎ানের বাড়ি ও স্মৃতি মিউজিয়ামে ভয়াবহ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পরে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার। এদিকে, আজই আমেরিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অবস্থার মাঝেই ঢাকা থেকে ফের একবার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে এল বার্তা। এদিকে, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনর নিয়োগের প্রক্রিয়াও এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন ইউনুস সরকারের বিদেশমন্ত্রকের এই মুখপাত্র। জল্পনা, বারবার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গ তুলে কি ঢাকা কোনও কূটনৈতিক প্রেশার গেমে রাখতে চাইছে দিল্লিকে? এই পরিস্থিতিতে দিল্লি কোন স্টান্স নেয়, সেদিকে নজর সকলের।
ইউনুস সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলছেন, শেখ হাসিনা ইস্যুতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। এছাড়াও তিনি বলছেন, ভারতে বসবাসকারী আওয়ামি লিগের অন্য নেতাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম মানা হবে কি না, তাও সরকারের ফোকাসে রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ✅ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে ভারত আমল দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।