লি কেকিয়াং। তাঁকে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাত সদস্যের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির নম্বর ২ হিসাবেই গণ্য করা হয়। কার্যত প্রেসিডেন্ট জিংপিংয়ের পরেই তাঁর স্থান। কার্যত সেকেন্ড ইন কমান্ড। চিনের ক্যাবিনেটেরও তিনি প্রধান। চিনের সরকার পরিচালনায়, অর্থনৈতিক নানা সিদ্ধান্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লি কেকিয়াংয়ের। আর সেই লি ঘোষণা করলেন, পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চান তিনি। তাঁর এই ইস্তফার ইচ্ছাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনকী তিনি ইস্তফা দিলে তাঁর জায়গায় কে আসবেন তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।এদিকে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদের সময়সীমা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জিংপিংই আপাতত তাঁর পদে থাকছেন। তবে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে লি জানিয়েছেন, ‘আপনারা বলছেন এই বছরই চিনের বর্তমান সরকারের শেষ বছর। তবে আমার প্রিমিয়ারশিপেরও এই বছরটাই শেষ বছর।’ আর তাঁর এই মন্তব্যের পরেই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে, লির বয়স বর্তমানে ৬৬। সিপিসিতে থাকার ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট ইয়ং। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুসারে ২০১২ সালে লির প্রমোশনের আগে পার্টির নম্বর ২ পজিশনে ছিলেন তৎকালীন এনপিসি চেয়ারম্যান ইউ বানগুয়ো। তিন নম্বর পজিশনে ছিলেন ওয়েন জিয়াবাও। তবে লির ঘোষণা অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত বলেই মনে হচ্ছে। হয়তো তিনি পরবর্তী মার্চেই ইস্তফা দিতে পারেন। আর ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে লি জানিয়েছেন, এই সংকট থেকে মুক্তির জন্য যেকোনও রকম শান্তিপূর্ণ মধ্যস্থতাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।