এই প্রথমবার জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে গেলেন শি জিনপিং। কারণ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে ভারত-চিন সম্পর্কে যাতে এর আঁচ না পড়ে তার জন্য বুধবার চিনা বিদেশ দফতর থেকে জানিয়ে দিয়েছে,🐼 মতভেদ থাকলেও দু𒊎'দেশের মধ্য সম্পর্ক স্থিতিশীল।
প্রেসিডেন্ট না এলেও জি ২০ শীর্ষ সম্মলনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মাও নিং বলেন,'সামগ্রিক ভাবে দু-দেশের মধ্যে সম্🗹প꧟র্ক স্থিতিশীল। দ্বিপাক্ষিক স্তরে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং জি ২০ বৈঠকে যোগ দেবেন।'
প্রেসিডেন্টের না আসা নিয়ে আরও একটি বিষয় উঠে আসছে। এই গ্রীষ্মেই চিনে বেইদাইহে সমুদ্রতীরবর্তী একটি রিসর্টে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের বার্ষিক মিলনমেলা হয়েছে। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে তা কখনই প্রকাশ্যে আনা হয় না। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত একদল শীর্ষনেতাদের কাছে মারাত্মক ধমক খেয়েছেন শি। প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন ভর্ৎসনা মুখে তিনি কোনও দিন পড়েনি। প্রেসিডেন্ট তাঁর নিকটজনের কাছে এ নিয়ে হতা🌌শও ব্যক্ত করেছেন।
তবে চিনের অর্থনীতিও ভাল অবস্থায় নেই। সত্তরের দশকের শেষ দিকে সংস্কার ও উদারীকরণের পর থেকে অর্থনীতির বৃদ্ধিও ক্রমশ নিম্নমুখী। আবাসন শিল্প কার্যত ধ্বংসের মুখে। বেকারত্বে হারে এতটাই অবনতি হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পেশ করাই বন্ধ করে দিয়েღছেন। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পার্টির প্রবীণ এবং অবসরপ্রাপ্ত নেতারা।
(পড়তে পারেন। রাশিয়া, বেলারুশকে ডেকে বিপাকে নোবেল ফ🐓াউন্ডে𝓀শন, ফের সিদ্ধান্ত বদল)
তাঁদের বার্তার সারমর্ম হল দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা যদি ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকে তবে দল জনসমর্থন হারাতে পারে। যা শাসকের𒉰 জন্য হুমℱকির কারণ হয়ে দাঁড়তে পারে।
অভিযোগ উঠেছে, শি জামানাতেই বহির্বিশ্বের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বাণিজ্য মন্থর,⛄ এবং দেশে বিদেশী বিনিয়োগ তীব্রভাবে হ্রাস পাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ভারতে জি ২০ সম্মলনেܫ যোগ দিলে তাঁর বিড়ম্বনাই বাড়বে। তাই কি সম্মলন এড়ালেন শি জিনপিং?