সংখ্যালঘু ভারত বিরোধীদের বিদেশের মাটিতে মারার চেষ্টা করছে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং। এই অভিযোগ করে র'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন বা ইউএসসিআইআরএফ। এই আবহে এই মার্কিন কমিশনকে 'এনটিটি অফ কনসার্ন' (উদ্বেগের সত্ত্বা) হিসেবে ঘোষণা করা উচিত বলে পালটা তোপ দাগল ভারত। ভারতের তরফ থেকে এই মার্কিন কমিশনকে বলা হয়েছে, 'গণতন্ত্রের বাতিস্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রচেষ্টা সফল হবে না।' এই নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সামরিক হাসপাতালে🔯 মৃত্যু খলিস্তানি জঙ্গি নেতা মহল সিং বব্বরের)
আরও পড়ুন: চিন🌠 𓃲সফরের আগে উথলে পড়ল ইউনুসের 'ভারত প্রেম', সামনে এল নয়া তথ্য
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'ইউএসসিআইআরএফ নিজের প্যাটার্ন বজায় রেখেছে এবং পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করছে। ভারতের বহুসংস্কৃতির সমাজকে নিয়ে ক্রমাগত কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে ইউএসসিআইআরএফ। এতে ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য সত্যিকারের উদ্বেগের পরিবর্তে, প্রতিফলিতচ হয় 'ইচ্ছাকৃত' অ্যাজেন্ডা। ভারতে ১৪০ কোটি মানুষ বাস করে, যারা সব ধর্মের অনুসারী। তবে, আমাদের কোনও প্রত্যাশা নেই যে ইউএসসিআইআরএফ ভারতের বহুত্ববাদী কাঠামোর বাস্তবতার সাথে জড়িত হবে বা এর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানকে স্বীকৃতি দেবে।' নিয়মতান্ত্রিক ও মারাত্মক ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে 'বিশেষ উদ্বেগের দেশ' বা সিপিসি হিসাবে চিহ্নিত করার মার্কিন সরকার ইউএসসিআইআরএফের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে জয়সওয়াল আরও বলেন, 'গণতন্ত্র ও সহিষ্ণুতার বাতিস্তম্ভ হিসাবে ভারতের অবস্থানকে খাটো করার এ জাতীয় প্রচেষ্টা সফল হবে না। প্রকৃতপক্ষে, এটি ইউএসসিআইআরএফকে উদ্বেগের সত্তা হিসাবে মনোনীত করা উচিত।' (আরও পড়ুন: 'সব সꦰদস্য প্রস্তুত', অভ্যুত্থান জল্পনার মাঝে বাংলাদেশি সেনা প্রধানের বড় বার্ত𒁏া)
উল্লেখ্য, এর আগে নিজেদের বার্ষিক রিপোর্টে ভারতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও হয়রানির অভিযোগ এনেছিল ইউএসসিআইআরএফ। এই আবহে নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদনে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংকে (র) নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা। কমিশনের অভিযোগ,♔ শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার সঙ্গে 'র' জড়িত ছিল। প্রসঙ্গত, যে সব খলিস্তানি নেতার মৃত্যুর বিষয়ে মার্কিন কমিশন এই অভিযোগ করেছে, তারা ভারতে নিষিদ্ধ জঙ্গি। এদিকে এখনও ভারতের সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও দেশ কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।
মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও বৈষম্য বেড়েছে। প্রতিবেদনে ভারতের প্রধানমন্ত♛্রী নরেন্দ্র মোদী ও শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও গুজব ছড়ানোর জন্যও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
কমিশনের রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও কানাডায় ভারতের 'কথিত পদক্ষেপ' দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি কౠরেছে। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে ব্যর্থ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আগেই। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বহুবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে তাঁর সরকারের প্রকল্পগুলি সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্যেই উপকারী।