কেরলের কোট্টায়ামের এক নার্সিং কলেজে ব়্যাগিং ঘিরে অভিযোগ আগেই এসেছিল। এরপর অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতারির পর ব়্যাগিংয়ের ভয়া🔯বহ ঘটনার ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ্যে আসে। সেখানে যে দৃশ্য দেখা যায়, তা কম আতঙ্কের নয়। এছাড়াও কলেজে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড়প্রমাণ অভিযোগ।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, একজন পড়ুয়া বিছানায় রয়েছেন। তাঁর হᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚাত, পা বাঁধা অಌবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় তাঁকে জ্যামিতির কম্পাসের ধারালো অংশ দিয়ে খোঁচা দেওয়া চলছে। সারা শরীরে ওই ছাত্রকে এমন খোঁচা দেওয়া হচ্ছে। ভিডিয়োয় শোনা যাচ্ছে, যন্ত্রণায় কাতর হয়ে ছাত্রটি ছটফট করছেন, চিৎকার করছেন। অন্যদিকে, শোনা যাচ্ছে, কয়েকজনের হাসির আওয়াজ। তারই সঙ্গে ওই শোয়া অবস্থায় অত্যাচারের শিকার হওয়া ছাত্রের ওপর সাদা রঙের একটি গুঁড়ো ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। তাতে ছাত্রটি আরও চিৎকার করে উঠছেন। সেই গুঁড়ো তাঁর চোখেও ঢালা হচ্ছে, বলে দেখা যায় ভিডিয়োয়। গোটা ভিডিয়োয় ছাত্রটি কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কেরলের কোট্টায়ামের নার্সিং কলেজে ব়্যাগিং কাণ্ড এখানেই থেমে নেই। অভিযোগ সেখানে ব়্যাগিংএর অংশ হিসাবে যৌনাঙ্গে ডাম্ববেল ঝুলিয়ে দ꧒েওয়ার মতো নারকীয় কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনার পরই কোট্টায়ামের ফার্স্ট ইয়ারের ওই পড়ুয়ারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁরা জানান, গত ২০২৪𝓀 সালের নভেম্বর মাস থেকে এই অত্যাচার শুরু হয়েছে। আর তা ৩ মাস ধরে চলছে। মুহূর্তে কলেজ ৫ জনকে সাসপেন্ড করে। অভিযুক্তদের বয়স ২০ থেকে ২২র মধ্যে। এদিকে, তদন্তে নেমে পুলিশ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখছে। ঘটনার সময় হস্টেলের ওয়ার্ডেনের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এছাড়াও ঘটনা ঘিরে কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না তাও প্রশ্নের মুখে।
এদিকে, কলেজে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, রয়েছে, প্রতি রবিবার সিনিয়ররা জুনিয়রদের থেকে টাকা তোলাবাজি করত, আর তা দিয়ে মদ কেনা হত♈। এই অত্যাচারের পরিমাণ বাড়তে থাকায়, এক পড়ুয়া তাঁর বাবার কাছে সব কথা জানান। তারপরই তাঁর বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হতে পড়ুয়াকে পরামর্শ দেন। এরপরই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নেমেছে তদন্তে।