ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ৮৫ বছর বয়সি আলী খামেনি গুরুতর অসুস্থ বলে খবর। শীঘ্রই তিনি তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন এবং তার ছেলে মুজতবা খামেনির নাম ঘোষণা করতে পারেন বলে খবর। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির অনুরোধে দেশটির বিশেষজ্ঞ পরিষদের ৬০ জন সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।সর্বসম্মত ভোটে পার্লামেন্ট খামেনির পুত্র মুজতবাকে তার উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত করে। তবে সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত এবং প্রক্রিয়া উভয়েরই বিরোধিতা করেছিলেন বলে জানা গেছে, তবে খামেনি এবং তার প্রতিনিধিরা তাদের চাপের মুখে পড়েছিলেন, কিছু প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে তাদের পছন্দকে প্রভাবিত করতে সরাসরি হুমকি ব্যবহার করা হয়েছিল, নিউজ ১৮ এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছিল।ইরানের সর্বোচ্চ পদের সম্ভাব্য উত্তরসূরি মুজতবা খামেনির দ্বিতীয় পুত্র মুজতবা ১৯৬৯ সালে মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পিতা এবং অন্যান্য প্রভাবশালী শিক্ষকদের অধীনে ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন এবং একজন আলেম হন। তিনি এখন কোম সেমিনারিতে ধর্মতত্ত্ব পড়ানো চালিয়ে যাচ্ছেন।তার স্ত্রী জাহরা হাদ্দাদ-আদেলের সাথে তার তিনটি সন্তানও রয়েছে।২০০৯ সালের নির্বাচনে ভূমিকা২০০৫ এবং ২০০৯ সালে ইরানের নির্বাচনে মুজতবা মাহমুদ আহমাদিনেজাদের সমর্থক ছিলেন এবং ২০০৯ সালেও ইরানের বিজয়ে তার ভূমিকা ছিল ।আহমাদিনেজাদের জয়ের পর ২০০৯ সালের জুনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, মোজতাবা সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনকারীদের নেতৃত্ব দেন বলে জানা গেছে।তবে মোজতাবা খামেনির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তহবিল আত্মসাতের অভিযোগ আনার পর আহমাদিনেজাদের সাথে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায়।পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা ইরানেরপরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে তার ভূমিকা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা অব্যাহত থাকলেও তিনি বিশেষজ্ঞদের পরিষদ থেকে কিছুটা ভিন্নমতের মুখোমুখি হতে পারেন, যদিও তারা মূলত একটি আনুষ্ঠানিক সংস্থা।মোজতাবার বড় আকারের আর্থিক সম্পদের অ্যাক্সেসও রয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে দ্য গার্ডিয়ান মনে করে, তার রাজনৈতিক টান পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে তার অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।এদিকে এসবের মধ্য়েই সোমবার একটি ছবি সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলছেন। কার্যত তিনি যে সুস্থ সেটা প্রমাণ করার জন্যই কি তিনি এই ছবি পোস্ট করলেন ? এনিয়ে জল্পনা একেবারে তুঙ্গে উঠেছে।