'লাভ জেহাদ' নিয়ে আরও কঠোর হচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পথে হ🍌েঁটে এবার মহারাষ্ট্রেও ‘লাভ জেহাদ’ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সরকার। জানা গিꦇয়েছে, মহারাষ্ট্র সরকার শুক্রবার লাভ জেহাদ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের জন্য ডিজিপির নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: ‘মহারা💙ষ্ট্রের মানুষকে অপমান করেছেন’ ৭০ লাখ ভোটার নিয়ে রাহুলকে তোপ দেবেন্দ্রর
এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যে ডিজিপি ছাড়াও এই কমিটিতে বিভিন্ন বিভাগের আরও ৬ জন সদস্য থাকবেন। তা🍷র মধ্যে থাকবেন নারী ও শিশু উন্নয়ন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর, আইন ও বিচার দফতর, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং বিশেষ সহায়তা বিভাগ থেকে একজন করে সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের দুজন প্রত♒িনিধি থাকবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে🌜 'লাভ জেহাদ' শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এর আগে বলেছিলেন, মহারাষ্ট্র জোর করে ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে একটি আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে। বিশেষ করে ধর্মান্তরের মাধ্যমে বিয়ে রুখতে ('লাভ জেহাদ') উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্যের মতো আইন প🃏্রণয়ন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা, ‘লাভ জেহাদ’ এবং জোর করে ধর্মান্তর সম্পর্কে অভিযোগ পরিচালনা করা, অন্যান্য রাজ্যের আইন পরীক্ষা করা, আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা এবং আইনি প্রভাব পর্যালোচনা করার কাজ করবে এই কমিটি। এছাড়াও ‘লাভ জেহাদ’ এবং জোর করে ধর্মান্তর রোধ করার জন্য জনপ্রতিনিধি, সংগঠন এবং নাগরিকদের অনুরোধের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটি বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করবে এবং এই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে। পাশ💮াপাশি উপযুক্ত আইন প্রণয়নের জন্য অন্যান্য রাজ্যের আইনি কাঠামো অধ্যয়ন করবে।
মহারাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন বিরোধীরা। সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক রইস শেখ এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, যে রাজ্য সরকারের কাছে এই ধরণের মামলার কোনও পরিসংখ্যানগত প্রমাণ নেই। তারা জোর করে ধর্মান্তরের বিষয়টিকে ‘জেহাদ’ হিসেবে চিহ্নিত করে রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, এর আগে সরকার রাজ্যে ‘লাভ জেহাদের’ এক লক্ষেরও বেশি মামলা রয়েছে বলে দাবি করার পর একটি প্রস্তাবౠ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু, আসলে এই ধরনের কোনও অভিযোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সরকার এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।