ঘাটকোপারের হোর্ডিং ভেঙে পড়ার ঘটনার পরে ১৩ মাসের পুরনো একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেল। যে ভিডিয়ো পোস্ট করে ওই হোর্ডিং গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছে বলে দাবি করেছিল রিয়েলিটি অ্যান্ড ইনফ্রা ইন্ডিয়া লিমিটেড। কিন্তু সোমবার (১৩ মে) হোর্ডিংটি ভেঙে পড়ে ১৪ জনের মৃত্যুর পরে ভিডিয়োর নীচে গিয়ে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করেন নেটিজেনরা। তড়িঘড়ি সেই ভিডিয়ো ডিলিট🌱 করে নিয়ে আজমেরা গ্রুপের তরফে দাবি করা হল যে ওই হোর্ডিংয়ের জায়গাটি আদতে তাদের মালিকাধীন নয়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে স্রেফ পাঁচদিনের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। যদিও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। আজমেরা গ্রুপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
ঘাটকোপারে কী হয়েছে?
প্রবল ধুলোঝড়ের জেরে সোমবার মুম্বইয়ের ঘাটকোপার ইস্টের পন্তনগরের ইস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়েতে পুলিশ গ্রাউন্ড পেট্রোল পাম্পের উপরে একটি হোর্ডিং ভেঙে পড়ে। যে ‘বেআইনি’ হোর্ডিংটি ১২০ ফুট লম্বা এবং ১২০ ফুট চওড়া ছিল। তার জেরে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েꦺছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৫ জন। ধ্বংসস্তূপ থেকে আপাতত ৮৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত এবং আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন উদ্ধারকারীরা।
২০২৩ সালের এপ্রিলে কী পোস্ট করা হয়েছিল?
সেই ঘটনার পরদিন সোশ্যাল ✅মিডিয়ায় আজমেরা গ্রুপের পোস্ট করা একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল পোস্ট করা সেই ভিডিয়োয় লেখা হয়েছিল, ‘ঘাটকোপারে এশিয়ার উচ্চতম হোর্ডিং। আমাদের টিমের কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় সার্থক হল। গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অংশ হতে পারার অনুভূতিটা কী দুর্দান্ত। আজমেরা গ্রুপের সকলের জন্য এটꦡা অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।’
কিন্তু সেই ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁরা বলতে থাকেন, ১৪ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্যও গিনেস বুকে নাম উঠছে। তুমুল রোষের মুখে আজমেরা গ্রুপের তরফ༒ে সেই ‘গর্বের’ ভিডিয়ো ডিলিট করে দেওয়া হয়। তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি।
আজমেরা গ্রুপের প্রতিক্রিয়া
তারইমধ্যে আজমেরা গ্রুপের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, '২০২৩ সালের এপ্রিলে পাঁচদিনের জন্য এই বিজ্ঞাপনের জায়গাটা ভাড়া নিয়েছিল আজমেরা গ্রুপ। ওই জায়গাটা আজমেরা গ্রুপ বা আমাদের কোনও সংস্থার মালিকাধীন নয়। এটা দেখভালও করত না আজমেরা গ্রুপ বা আম🔯াদের কোনও সংস্থা। প্রাণহানির ঘটনায় আমরা অত্যন্ত দুঃখিত এবং যারা দায়ি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি আমরা।'
উল্লেখ্য, সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে মেসার্স ইগো মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের 🙈মালিক ভবেশ ভিন্ডে এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক 𒅌ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহন্মুমুম্বই পুরনিগমের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিলবোর্ডটি বেআইনি ছিল। কোনওরকম অনুমোদন দেওয়া হয়নি।