🌊 ফের একবার বাংলাদেশ সেনাকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর। এর আগে ক্যানটনমেন্টে গোপন বৈঠক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সেনাকে তোপ দেগেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দেশে আওয়ামি লিগকে ফেরাতে ছক কষছে সেনা। এই আবহে ২২ মার্চ ঢাকায় একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিলেন হাসনাত। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার সময় সেনাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন 'হাসিনা বিরোধী' এই নেতা। সেনার ওপর 'আস্থা আছে' বলেও রাজনীতি থেকে ক্যান্টনমেন্ট কর্তাদের দূরে থাকার হুঁশিয়ারি দেন হাসনাত।
♑হাসনাত বলেন, 'সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন আছে। আপনাদের যাদের কাজ ক্যানটনমেন্টে, তাঁরা ক্যানটমেন্টেই থাকুন। আমরা আপনাদের শ্রদ্ধা জানাই। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে আপনাদের যে অবদান রয়েছে, সেটা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আমরা বলতে চাই, আপনারা গত ১৬ বছর ধরে ক্যানটনমেন্ট থেকে যেভাবে রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছেন, বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে যেভাবে রাজনীতিতে নোংরা হস্তক্ষেপ করেছেন... ২০২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে শুধুমাত্র রাজনীতিবিদরা।'
▨প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ হাসনাত এক ফেসবুক পোস্ট করে দাবি করেছিলেন, ক্যানটনমেন্টে নাকি সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তার সঙ্গে সম্প্রতি নাকি বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। তাতে নাকি তিনি 'ধমক' খেয়েছেন। ফেসবুকে নিজেই আবার সেই বৈঠকের বিবরণ দেন সেই এনসিপি নেতা। তাঁর কথায়, ক্যানটমেন্টে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, সেটাকে তাঁরা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য করছেন।
🔜২০২৪ সালের ৫ অগস্ট সেনাবাহিনীর 'সেফ প্যাসেজ' পেয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে আছেন। আওয়ামি লিগের একাধিক নেতাও নাকি বাংলাদেশে আছেন বলে অভিযোগ করা হয় ঢাকার তরফ থেকে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামিপন্থীরা বিগত কয়েক মাস ধরে দাবি করে এসেছেন, ২৬ মার্চ নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশে ফিরতে চলেছে আওয়ামি লিগ। এমনিতে জুলাই-অগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্রলিগ নিষিদ্ধ হলেও আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ হয়নি। হাসিনার দল নিয়ে সাম্প্রতিককালে তাই অনেক জল্পনা ছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি আওয়ামি লিগ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে? এমনকী সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস নিজেই বলে দেন, দোষীদের বিচার হলেও আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করবে না তাঁর সরকার। আর এতেই বেঁকে বসেছে বাংলাদেশের নতুন দল 'এনসিপি'। হাসনাত, সারজিস, নাহিদদের দাবি, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তবে বিএনপি এককালে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুললেও এখন 'সুর বদলাচ্ছে' ধীরে ধীরে। বিএনপির কট্টরপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত রিজভি বলেছেন, 'মানুষ যদি আওয়ামি লিগকে গ্রহণ করে তাহলে আমাদের সমস্যা নেই।' যদিও তারেক জিয়া লন্ডনে বসে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। এই আবহে আওয়ামি লিগ ইস্যু আপাতত এড়িয়ে গিয়েছে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল। যদিও হাসনাত যেভাবে সেনার বিরুদ্ধে বোমা ফাটাচ্ছেন, তা নজিরবিহীন।