দেবব্রত মোহান্তি
♔অল্পের জন্য রক্ষা পেল এনজেপি-চেন্নাই এক্সপ্রেস। ছুটছিল ট্রেনটি। এমন সময় শনিবার ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে খুলে গেল ট্রেনের যন্ত্রাংশ। ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে গেল ট্রেন। চালক এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। তার জেরে থেমে যায় ট্রেনটি। ওড়িশার বালেশ্বর জেলার সাবিরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে বেলসাবিরায় লাইন পাতার কাজ চলাকালীন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে চেন্নাইগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেন অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। সব মিলিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে যাত্রী সুরক্ষা।
✃আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ধাক্কায় ২২৬১২ নিউ জলপাইগুড়ি-চেন্নাই এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে প্রায় লাইনচ্যুত হয়।
ꦚ'দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ইঞ্জিনের ব্যাটারি বক্স পড়ে যায়। ট্রেনটি প্রচণ্ড গতিতে চলার সময় ইঞ্জিনের ব্যাটারি বন্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে লোকো পাইলট ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেছিলেন, তাঁকে ধন্যবাদ। লোকো পাইলটের সতর্কতা ও উপস্থিত বুদ্ধির কারণে সব যাত্রীর জীবন রক্ষা পেয়েছে।
ব্যাটারি বক্সের মেরামতের কাজ করা হয়।
♉একাধিক সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনার জেরে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে,ট্রেনটি বিপর্যয়ের মধ্য়ে পড়তেই বহু মানুষ জড়ো হয়ে যান। যাত্রীদের মধ্য়েও আতঙ্ক ছড়ায়।
এদিকে এভাবে ব্যাটারির একাংশ খুলে পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে বিরাট প্রশ্ন উঠছে। বালাশোরের কাছে ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেনটি থেমে যায়। বালাসোর-মারকোনার কাছে ঘটনা। এর আগে ময়নাগুড়িতেও একবার এই ধরনের ট্রাকসান মোটর খুলে গিয়েছিল। এবার বালাশোরে෴র কাছেও একই ধরনের ঘটনা। ঘটনার পরেই রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরাই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ফের রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন উঠে গেল।
ꦉপ্রসঙ্গত ২০২৩ সালের গত ২রা জুন। ওড়িশার বালাশোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন বহু যাত্রী। সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে এতগুলো মাস কেটে গিয়েছে। তবে সেই বালাশোরের কাছে ফের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি। তবে কি যথাযথভাবে নজরদারি করা হয় না। তার জেরেই এই কাণ্ড! 'দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ইঞ্জিনের ব্যাটারি বক্স পড়ে যায়। ট্রেনটি প্রচণ্ড গতিতে চলার সময় ইঞ্জিনের ব্যাটারি বন্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে লোকো পাইলট ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেছিলেন, তাঁকে ধন্যবাদ। লোকো পাইলটের সতর্কতা ও উপস্থিত বুদ্ধির কারণে সব যাত্রীর জীবন রক্ষা পেয়েছে।