‘বাংলাদেশটা একটা মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গিয়েছে। চঞ্চল চৌধুরীকে তো পারলে মেরে ফেলবে। চঞ্চল চৌধুরী তাঁদের রাগের আরেকটা উৎস।’ সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনার আইনজীবী নিঝুম মজুমদার। সংবাদ প্রতিদিন💧কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিঝুম মজুমদারের দাবি, বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকেই আসলে মুছে ফেলতে চাইছে রাজাকাররা। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন নিঝুম মজুমদার।
꧙নিঝুম মজুমদারের দাবি, পাকিস্তানের ইন্ধনেই শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। ওরা মুক্তি যুদ্ধের শেষ স্মৃতিটুকুও নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছে। তাঁর কথায়, ‘মুক্তি যুদ্ধ শব্দটাই এখন আমাদের দেশে একটা অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকায় এখন বাংলাদেশের পতাকার থেকেও আই এস-এর পতাকা বেশি দেখা যায়। এখন বাংলাদেশ একটা মৌলবাদী রাষ্ট্র, উর্দু এখন বাংলাদেশের আরেকটা ভাষা হতে চলেছে। বাংলাদেশে এখন অদ্ভুত সব শব্দ শোনা যাচ্ছে। বাংলা ভাষাটাই নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইছে। এমন সব শব্দ শুনছি, যেগুলো বাংলায় ব্যবহারই হয় না। বাংলা ভাষাতে ধর্ষণ করা হচ্ছে।’ তবে রাজাকারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে নিঝুম মজুমদার বলেন, ‘আমরা একদিন এই রাজাকারদের লটকে দেব…।’ এমনকি 'মহম্মদ ইউনুস তো একটা চোর' বলেও মন্তব্য করেন নিঝুম মজুমদার।
ဣএই কথা প্রসঙ্গেই নিঝুম বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরী তো তাঁদের রাগের আরেকটা উৎস। ওকে পারছে না তাই মেরে ফেলছে না। হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে পরীমনি, মিম জয়া আহসানদেরও।’
ꦦএর আগে গত ডিসেম্বরে (২০২৪)চঞ্চল চৌধুরীকে নিজের দেশেই আটক করা হয়েছিল বলে খবর মিলেছিল। জানা গিয়েছিল তিনি ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিলেন। সেসময় বিমান নামিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। যদিও পরে সেই খবর অস্বীকারই করেছিলেন চঞ্চল।
ꦰপ্রসঙ্গত চঞ্চল চৌধুরী কেবল বাংলাদেশ নয়, এদেশেরও অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি টলিউডের একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন, নজর কেড়েছেন। তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘পদাতিক’ ছবিতে । সেখানে তিনি মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেন। যদিও ছবি মুক্তির সময় এদেশে আসতে পারেননি তিনি।