ন্য়াশনাল মেডিক্যাল কমিশনের লোগোয় ধন্বন্তরির ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। প্রশ্ন উঠ😼েছিল বিভিন্ন চিকিৎসক মহলে। এবার সেই বিতর্কের জবাব এল কমিশনের তরফেই। কমিশনের চেয়ারম্যান বিএন গঙ্গাধর জানান, লোগোতে ধন্বন্তরি এক বছর আগে থেকেই ছিল। তবে তা ছিল সাদা-কালো আকারে। এবার তা রঙিন করা হয়েছে। সাদা কালো ছবিটি প্রিন্ট করা যাবে না বলেই তা রঙিন বানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে তাঁর কথায়, এনএমসি যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখনই লোগোতে ধন্বন্তরির ছবি রাখা হবে বলে স্থির করা হয়। পরিকল্পনামাফিক তেমনটাই করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
(আরও পড়ুন: অন্য মেয়ের দি♒কে বারবার তাকায়, প্রেমিকের ‘চোখ গেলে’ দিলেন প্𓆉রেমিকা! শেষমেশ যা হল…)
হিন্দু ধর্মে দেবগণের চিকিৎসক বলা হ🌸য় ধন্বন্তরিকে। আবার বিষ্ণুর অবতার বলেও মনে করা হয় তাঁকে। পুরাণে আবার ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদের দেবতা। দিন কয়েক আগে এনএমসি-র একটি নোটিস জারি করেছিল। তাতে থাকা ওই লোগোটি বৃহস্পতিবার প্রথম নজরে আসে। কমিশনের ওয়েবসাইটেও দেখা যায় এই বদল। ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এমন লোগো দেখ꧅েই প্রশ্ন উঠছে। বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত সংস্থায় আচমকা হিন্দু দেবতা কেন, তা ভাবাচ্ছে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনকে। অভিযোগ, চিকিৎসাবিজ্ঞানকে গৈরিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র।
এই প্রসঙ্গে কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের সদস্য যোগেন্দর মালিক বলেন, ধন্বন্তরির ছবি দেড় বছর আগে থে♎কেই ছিল। ইন্ডিয়ার জায়গায় ভারত নামটি দেড় মাস আগে বসানো হয়েছে। অন্যান্য দেশে অ্যাপোলোকে ওষুধের দেবতা হিসেবে গণ্য করা হয়। আমাদের দেশের প্রাচীন পুরাণ মতে, তিনি হলেন ধন্বন্তরি। তাই তাঁর 🅷ছবি রাখা হয়েছে।
(আরও পড়ুন:ꦦ নামের মানে ভীষণ ভারী! রাজ-শুভশ্রীর মতো আর কোন সেলেব সন্তানের কঠিন নꦍাম দিলেন হালে)
তবে এতে চিকিৎসকদের ক্ষোভ কিছুমাত্র কমছে না। চিকিৎসক সংগঠন মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক বিপ্লব চন্দ্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মেডিক্যাল শিক্ষা ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত বিজ্ঞানসম্মত হওয়া উচিত। কিন্তু এনএমসির এই পদক্ষেপ ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ চিন্তাধারার উপর আঘাত করেছে। এনএমসি-র অ্যাডভাইজ়রি কাউন্সিলের কোন মিটিংয়ে এই লোগো সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা জানা যায়নি। সেটা জানতে চেয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান বিএন গঙ্গাধরকে চিঠি পাঠিয়ে🔴ছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা বর্তমান রাজ্য📖 সম্পাদক ও চিকিৎসক-সাংসদ শান্তনু সেন।
লোগোর নীচে আবার ইন্ডিয়ার বদলে ভারত লেখা রয়েছে। এই দু’টি পরিবর্তনের বিষয়ে সোচ্চার হয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, লোগোতে হিন্দু দেবতা, দেশের নামের💦 পরিবর্তন পূর্ণ গৈরিকীকরণের প্রচেষ্টা। পাশাপাশি বিজ্ঞান ও মানবতার চূড়ান্ত পরিপন্থী। স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার তরফেও এই লোগো প্রত🅰্যাহারের ডাক দেওয়া হয়েছে।