বিগত দিনে 'স্ক্যাম ১৯৯২' ওয়েবসিরিজটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। মুম্বইয়ের শেয়ার বাজার কাঁপানো হর্ষদ মেহতার গল্প বলা হয়েছিল সেই সিরিজে। এবার ফের একবার মুম্বইতে বড়সড় স্ক্যাম করলেন আরও এক মেহতা! সম্প্রতি নিউ ইন্ডিয়া কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আরবিআই। এবার সেই ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার হিতেশ মেহতাকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হল। অভিযোগ, আমানতকারীদের ১২২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন হিতেশ। ব্যাঙ্কের বর্তমান সিইও দেবর্ষী ঘোষ সম্প্রতি দাদর পুলিশ স্টেশনে হিতেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দয়ের করেছিলেন। এরপরই এই মামলাটি মুম্বই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের অধীনে চলে যায়। (আরও পড়ুন: 🔴ভারতের ভোটে ২২ মিলিয়ন ডলার খরচ করত USA? খুঁজে বের করলেন মাস্ক, বিস্ফোরক BJP নেতা)
আরও পড়ুন: 🎉'ওর কী দোষ ছিল?' নয়াদিল্লি পদপিষ্টকাণ্ডে ১১ বছরের মেয়েকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেন বাবা
হিতেশকে এই আবহে সম্প্রতি ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের অফিসে তলব করা হয়েছিল। জেরায় জানা যায়, ব্যাঙ্কের প্রভাদেবী এবং গোরেগাঁও শাখা থেকে নিজের সহযোগীদের সাহায্যে আমানতকারীদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন হিতেশ। এই আবহে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৬(৫) এবং ৬১(২) ধারায় মামলা রুজু হয় হিতেশের বিরুদ্ধে। এদিকে আজ মুম্বইয়ের হলিডে কোর্টে পেশ করা হয় হিতেশকে। উল্লেখ্য, নিউ ইন্ডিয়ার মোট ২৮টি শাখা আছে। এর মধ্যে অধিকাংশই মুম্বইতে। এছাড়া পুনেতে ১টি এবং সুরাটে ২টি শাখা আছে তাদের। (আরও পড়ুন: 💙সীমান্তের ওপারে আটক ভারতীয় নারী, পরে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে দেয় বিজিবি)
আরও পড়ুন: 𝄹কাউন্সিলর ভাঙাল BJP, বিধানসভায় হারের পর দিল্লি পুরসভাও হাতছাড়া হবে AAP-এর?
এদিকে সম্প্রতি নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের ওপরে বিধিনিষেধ চাপায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই আবহে ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই ব্যাঙ্কের সামনে আতঙ্কিত মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের। তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। হাজার হাজার মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যাঙ্কের বাইরে। তবে অভিযোগ, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও তথ্য তাদের জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, ১৩ ফেব্রুয়ারিতেই আরবিআই-এর তরফ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভের ওপরে। তা সত্ত্বেও নাকি বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের না জানিয়ে ১৩ তারিখ টাকা জমা নিয়েছিল সমবায় ব্যাঙ্কটি। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকরা জানতে পারে নিউ ইন্ডিয়া কোঅপারেটিভের ব্যাঙ্কিং কার্যকলাপের ওপরে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এদিকে এর জেরে ব্যাঙ্কের লকারও অপারেট করতে পারেননি গ্রাহকরা। (আরও পড়ুন: ꧙একজন পা পিছলে পড়ার জেরেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮? নয়াদিল্লি কাণ্ডে রেলের যুক্তি…)
🦩বর্তমান পরিস্থিতিতে আরবিআইয়ের থেকে আগেভাগে অনুমতি না নিয়ে মুম্বইয়ের নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড কোনও ঋণ মঞ্জুর করতে পারবে না। করতে পারবে না কোনও বিনিয়োগ। নতুন করে টাকা জমা নিতে পারবে না। বিক্রি করতে পারবে না কোনও সম্পত্তি। কোনও টাকা দিতে পারবে না। টাকা দেওয়ার বিষয়েও কোনও চুক্তি করতে পারবে না বলে আরবিআইয়ের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। এই আবহে ব্যাঙ্কের বাইরে শুধু একটি ব্যানারে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তাতে লেখা, প্রত্যেক গ্রাহকের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ ডিপোজিট ইনসিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের (ডিআইসিজিসি) কাছে জমা রাখা হয়েছে। সেটা সুরক্ষিত আছে। আর ৯০ দিন বা তার আশপাশের সময়ের মধ্যে সেই টাকা ফেরত মিলবে। সেইসঙ্গে ব্যাঙ্কের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, গ্রাহকরা লকারে যে সব বস্তু রেখেছিলেন, সেটা সুরক্ষিত আছে।