🌳 একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় আইনের অপব্যবহার নিয়ে আদালতগুলিকে সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই এই মামলায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জড়িত করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং এন কোটিশ্বর সিং-এর বেঞ্চ জানিয়েছে, স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের মামলায় জড়িয়ে ফৌজদারি প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: ﷺমদ্যপ স্বামীদের অত্যাচারে বিরক্ত, ঘর-সংসার ছেড়ে একে অপরকে বিয়ে করলেন ২ মহিলা
﷽তেলাঙ্গানার একটি বধূ নির্যাতনের মামলায় রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট একথা বলেছে। মামলার বয়ান অনুযায়ী, নির্যাতনের অভিযোগে এক গৃহবধূ শুধু শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধেই নয়, তাঁর স্বামীর মাসি গেদ্দাম ঝাঁসি এবং তাঁর ছেলে গেদ্দাম সত্যকামা জাবালির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছিলেন। এর আগে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করতে অস্বীকার করে। পরে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, এই মামলায় পরিবারের সদস্যদের জড়িত করা কোনও ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে না। অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হওয়া উচিত। পরিবারের সকল সদস্যকে এভাবে জড়িয়ে কঠোর ফৌজদারি আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে। বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, এই ধরনের ক্ষেত্রে আবেগ তীব্র হয়। যার ফলে অন্যায়ভাবে পারিবারিক বিরোধকে ফৌজদারি অভিযোগে পরিণত করতে পারে। যখন সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে তখন অভিযোগগুলিকে অতিরঞ্জিত করার প্রবণতাও থাকে।
ꦅমামলা সূত্রে জানা যাচ্ছে, মহিলার বিয়ে হয়েছিল ২০১৬ সালে। তাঁর স্বামী পেশায় একজন চিকিৎসক। তবে বিয়ের ৬ মাসের মধ্যেই পণের জন্য তাঁর ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, ২০২০ সালে তাঁকে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপরে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীদের বক্তব্য, তারা শুধু বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর জন্য দম্পতির মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিলেন।
🅘নিম্ন আদালতগুলিকে সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করে বলেছে, এই ধরনের মামলার মুখোমুখি হলে আদালতগুলিকে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এই ধরনের মামলা মোকাবেলা করার সময় আদালতগুলিকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
ꦿআদালত এমন বেশ কয়েকটি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে যেখানে পরিবারের সদস্যদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে জড়িত করা হতে পারে। পরিবারের কিছু সদস্য বা আত্মীয়স্বজন অপরাধের সময় চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে। নির্যাতিতার প্রতি সাহায্যের হাত নাও বাড়িয়ে দিতে পারে। তার মানে এই নয় যে তারা অপরাধী। যার অর্থ এই নয় যে তারাও গার্হস্থ্য হিংসায় অপরাধী। আদালত হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে।