ভারতের মতো গণতন্ত্রে নির্বাহী নিয়োগে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এই নিয়ে তাঁর দাবি, এই ধরনের নিয়মগুলি পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। ধনখড়ের কথায়, সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির নিজস্ব এক্তিয়ারের মধ্যে কাজ করা উচিত। ভোপালে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতে ভাষণ দেওয়ার সময় উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় বলেন, নির্বাহী বিষয়ে বিচার বিভাগের জড়িত হওয়ার বিষয়টি 'সাংবিধানিক বৈপরীত্যের নিদর্শন'। এর একটি সমাধান করা দরকার যাতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই তাদের নিজস্ব এক্তিয়ারের মধ্যে কাজ করতে পারে। (আরও পড়ুন: দিল্লির সরকার ꦚগঠন নিয়ে 'সাসপেন্স' শেষ করলেন বিজেপি নেতা, জানিয়ে দিলেন...)
আরও পড়ুন: মোদী আমেরিক♉া ছাড়তেই নয়া শুল্ক চাপানোর পথে আমেরিকা, 🗹বড় ঘোষণা ট্রাম্পের
ধনখড় বলেন,♐ 'আমাদের মতো গণতান্ত্রিক দেশে কীভাবে ভারতের প্রধান বিচারপতি কীভাবে সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচনে অꦇংশ নিতে পারেন? এর কি কোনও আইনগত যুক্তি থাকতে পারে? এর পুনর্বিবেচনার সময় এসেছে। এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে খাপ খায় না।' তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগের আগে উপরাষ্ট্রপতি এই মন্তব্য করলেন। উল্লেখ্য, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলী ও অফিসের মেয়াদ) আইন, ২০২৩ পাস হওয়ার পরে এই প্রথম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বাছাই করা হবে প্যানেলের মাধ্যমে। নয়া আইনে দেশের প্রধান বিচারপতিকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বাছাই প্যানেলে অংশ নিতে পারবেন না।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী, সংসদে বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতিকে সিলেক🔥শন প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সংসদে পাস হওয়া নয়া আইন কার্যকর হওয়ার পরে বর্তমানে নির্বাচনী আধিকারিক সিলেকশন কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং লোকসভার বিরোধী𝓀 দলনেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে এই নতুন আইনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছিল সম্প্রতি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি হওয়ার কথা আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি। উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বাছাইয়ের জন্যে বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার একদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে হতে চলেছে এই শুনানি।
এদিকে এর আগে বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এমনকী আইনমন্ত্রী থাকাকালীন কিরেণ রিজিজু নিজে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন এই ইস্যুতে। এই ইস্যু𒅌তে সুপ্রিম কোর্টের 'ধমক' শুনতে হয়েছিল সরকারকে। বিচারপতি সঞ্জয় কꦅিষাণ কউলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, কলেজিয়ামের অনেক সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার।