বল নিয়ে নিজের গতিতে বিপক্ষের গোলের দিকে এগোচ্ছিলেন মার্সেলো। প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারকে কাটিয়ে দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ে পাশ থেকে ছুটে এসে বাঁ-পা বাড়িয়ে মার্সেলোকে আটকাতে চান বিপক্ষের লুসিয়ানো স্যাঞ্চেস। কিন্তু নির্দিষ্ট একটি গতিতে থাকার কারণে নিজেকে থামাতে পারেননি মার্সেলো। লুসিয়ানো স্যাঞ্চেসের বাড়িয়ে দেওয়া পায়ের উপর মাড়িয়েই চলে যান তিনি। একেবারেই ইচ্ছাকৃত ভাবে তিনি করতে চাননি। কিন্তু সেই মুহূর্তেই স্যাঞ্চেসের পা ভেঙে উল্টো🎉 দিকে একদম মুচড়ে যায়।
মুহূর্তের এই আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়ে সকলে। মার্সেলোকে সঙ্গে সঙ্গেই লাল কার্ড দেখানো হয়। তবে লাল কার্ড দেখার জন্য কোনও যন্ত্রণা ছিল না মার্সেলোর। কিন্তু স্যাঞ্চেসের শোচনীয় অবস্থা দেখে একেবারে ভেঙে পড়েন মার্সেলো। কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে মাঠ ছাড়꧟তে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: সুনীল, গুরপ্রীত, সন্দে🦋শকে রেখেই Asian Games-এর জন্য ২২ জনের দল ঘোষণা করল ফেডারেশন
আসলে মার্সেলোর অনিচ্ছাকৃত ট্যাকলের জন্য দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে স্যাঞ্চেসের পা। আর এই ঘটনায় তাঁর কেরিয়ার♉ কার্যত শেষ হয়ে যাওয়ার মুখে। এটাই সম্ভবত যন্ত্রণা দিচ্ছে মার্সেলোকে। তাই ঘটনাটা ঘটার পর তাঁকে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যায়।
দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর কোপা লিব্রেতাদোরেসের ম্যাচে মঙ্♏গলবার এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। বুয়েনস এয়র্সের দিয়েগো মারাদোনা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও আর্জেন্তিনার ক্লাব আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্স।
ম্যাচের ৫৫তম মিনিটেই ফ্লুমিনেন্সের মার্সেলোর পায়ে লেগেই মারাত্মক বড় চোট পান বাজেভাবে ওই চোট পান আর্জেন্তিনোসের স্যাঞ্চেস। চোট পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে কাতরে ওঠেন এই ডিফেন্ডার। সতীর্থরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। মার্সেলো নিজেও কাছে গিয়ে স্যাঞ্চেসের পায়ের অবস্থা দেখে মাথায় হাত দিয়ে ফেলেন। পরে তাঁ꧙কে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
মাঠে কিছুক্ষণ প্রাথমিক চিকিৎসা পর স্যাঞ্চেসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাঁটু ডিসলোকেটেড হয়ে গিয়েছে তাঁর। যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আর মাঠে ফিরতে পারবেন কিনা, এখনই বলা যাচ্ছে না। চোটের বহর মারাত্মক। ফ্লুমিনেন্স এফসির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ল🌼ুসিয়ানো স্যাঞ্চেস একটা দুর্ঘটনায় মারাত্মক চܫোট পেয়েছে। ও যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে, সেই প্রার্থনাই আমরা করছি।’ মার্সেলোও ইনস্টাগ্রামে স্যাঞ্চেসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে লিখেছেন, ‘দিনটা আমার কাছে অত্যন্ত কঠিন ছিল। আমি অনিচ্ছাকৃত ভাবে আমার বিপক্ষ টিমের এক ফুটবলারকে চোট দিয়ে ফেলেছি। ও যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। পৃথিবীর সব শক্তি ওকে দাও।’
প্রসঙ্গত, স্যাঞ্চেসের ওই চোটের সময় ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল তাঁর ক্লাব। পরে ৮৭তম মিনিটে গোল শোধ করে দেয় ফ্লুমিনেন্স। শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচটি ড্র হয় ১-১ গোলে। তবে স্যাঞ্চেসের পরিণতি দেখার পর, মার্সেলোর অনুতাপ যেন কিছুতেই কমছে না। তিনি যেন নিজেকে✃ই ক্ষমা করতে পারছেন না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।