খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার শম্ভূনাথ মিস্ত্রি ও সমীরণ হালদার নামে ওই ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ধৃতদের বুধবার বারুইপুর আদালতে পেশ করে হেফাꦗজতে চেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ২🍒০১৬ প্যানেল বাতিলে বাংলার স্কুলগুলিতে কতটা শূন্যতা তৈরি হবে? বিস্ফোর♓ক পরিসংখ্যান পর্ষদের
পড়তে থাকুন: ‘আগে সবাই এই হাসিটা পছন্দ করত, এখন পাগল বলে’! মিম বানানো 🧜নিয়ে বক্তব্য রচনার
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এক মহিলা পুলিশে অভিযোগ করেন, খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম ꦉকরে তাঁর কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিল শম্ভূ ও সমীকরণ। এর পর তাঁকে একটি ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয় তারা। নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ হয় ওই মহিলার। তিনি এক সরকারি আধি🅺কারিককে নিয়োগপত্রটি দেখান। তিনি নিশ্চিত করেন সেটি ভুয়ো। এর পর নরেন্দ্রপুর থানায় শম্ভূ ও সমীরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।
তদন্ꦡতে নেমে পুলিশকর্মীরা জানতে পারেন, শম্ভূনাথের বাড়ি হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা এলাকায়, সমীকরণ কুল্পি থানা এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবাꦜর অভিযান চালিয়ে ২ জনকেই গ্রেফতার করে তারা।
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে দেবের স🐓া🎃মনে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি চলল, কেন এমন ঘটল? সামলালেন নেতা
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শম্ভূ ও সমীরণই এই চক্র চালাত। তবে এই চক্রে আর কেউ যুক্ত আ൩ছে কি না তা জানতে ধৃতদের জেরা করতে চায় পুলিশ। সেজন্য বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে চেয়েছে তারা।
বিরোধীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতে একের পর এক ধাক্কা খেয়ে আইন বাঁচাতে প্রতারকদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। এদের সঙ্গে শাকদলের নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। নইলে সরকারি নিয়োগের নথিꦑ জাল করার সাহস সবার হয় না। ভবিষ্যতে এই সব দুর্নীতির তদন্তভার যাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে না যায় সেজন্য পুলিশের এই তৎপরতা। এর মধ্যে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কোনও উদ্দেশ নেই।
আদালতের পদক্ষেপেও থামছে নিয়োগ দুর্নীতি
সোমবার এক ঐতিহাসিক রায়ে SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ। সঙ্গে যারা বেআইনিভাবে চাক🍌রি পেয়েছিলেন তাদের পুরো বেতন ১২ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দিতে বলেছে আদালত। শুধু তাই নয়, বিচারপতিরা রায়ে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভায় সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির মাধ্যমে দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে বলেছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ♛হেফাজতে নিয়েও জেরা করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা।