পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে আবারও উদ্ধার হল বহু প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি। অনুমান করা হচ্ছে মূর্তিটি, ৯০০ বছরের পুরনো। কেতুগ্রামে অজয় নদীর তীরবর্তী রসুই এলাকা থেকে এই মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। শনিবার সেই মূর্তিটি পুলিশের তরফে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ তার সে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেছে। তাতে অনেকেই পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। (আরও পড়ুন: আঙুল ইউনুসের দিকে,বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপের আর্জ༒ি RSS-র)
আরও পড়ুন: পুকুর কাটার সময় উদ্🌞ধার বি𒐪ষ্ণুমূর্তি! কোথায় নিয়ে যাওয়া হল? রাখতে চান স্থানীয়রা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার অজয়ের তীর থেকে স্থানীয় এক ব্যক্তি মূর্তিটি উদ্ধার করেন। পরে খবর পেলে পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শনিবার থানায় পৌঁছন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারির প্রতিনিধি তথা প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ শ্যাম সুন্দর বেরা। সবকিছু নিয়ম মেনেই তাঁর হাতে মূর্তিটি তুলে দেয় পুলিশ। বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি হল একটি ত্রিবিক্রম বিষ্ণু মূর্তি। এটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। এই বিষ্ণু মূর্তির উচ্চতা হল ২০ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৯ ইঞ্চি। (আরও পড়ুন: কাঁটার সিংহাসনে ইউনুস! নাহিদের দলের নেতা বললেন, ‘যুদ্ধ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্▨গে…’)
আরও পড়ুন: জাল আধার-প্যান বানিয়ে দিল্🐟লিতে ধৃত পশ্চিমবঙ্গের ৩ সহ ৮ চক্রী,জালে বহু বাংলাদেশি
মিউজিয়ামের ওই বিশেষজ্ঞ জানান, এই বিষ্ণু মূর্তিটি সেন আমলে তৈরি হয়েছিল। সেটি চেনার জন্য বিশেষ উপায় রয়েছে। মূর্তির চারটি হাত রয়েছে। তার মধ্যে ডান দিকের নিচের হাতে রয়েছে পদ্ম। আর ওপরের দিকে হাতে রয়েছে গদা। বাঁদিকের নিচের হাতে রয়েছে শঙ্খ এবং উপরের দিকে রয়েছে চক্র। এটা দেখে স্পষ্ট যে এটি মূর্তিটি দ্বাদশ শতকে সেন আমলের সময় তৈরি করা হয়েছিল। তিনি জানান, এই মূর্তি বর্ধমান মিউজিয়ামে রাখা হবে। সেখানে বিভিন্ন সময়ের মূর্তি সংরক্ষিত রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী এবং গবেষকরা সেখানে আসেন। যারা পুরাতত্ত্ব চর্চা করেন তাঁরাও সেখানে আসেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষ আসেন। মিউজিয়ামে মূর্তির তত্ত𓆉্বের ব্যাখ্যা করা হয়। তাতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হন। পড়াশোনার কাজে লাগে।