উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। সেইসঙ্গে সাতদিনের মধ্যে প্রার্থীদের নম্বর-সহ ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে কোন প্রার্থী কত নম্বর পেয়েছেন, তার সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যাঁরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি, তাঁদের নম্বরও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, যাতে তাঁদের ডাক না পাওয়ার কারণও জানা যায়। আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে কমিশনকে হাইকোর্টে আসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তালিকা খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। মামলাকারীদের আইনজীবী বলেছেন, ‘তালিকা স্বচ্ছ মনে হলে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।’ সেই নির্দেশের আগে শুক্রবার সকালে কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট। শুনানির শুরুতে কমিশনের আইনজীবী হাজির থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। সেজন্য কমিশনের চেয়ারম্যানকে ডাকা হয়। সেইসঙ্গে কমিশনকে অপদার্থও বলে হাইকোর্ট। বিচারপতি বলেন, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন অপদার্থ। কী ধরনের আধিকারিক এই কমিশনের দায়িত্বে আছেন? এই কমিশনকে অবিলম্বে খারিজ করা উচিত।’গত ২১ জুন উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তাতে কোনও প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর ছিল না। সেই বিষয় নিয়েই আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রার্থীদের একাংশের। তাঁরা দাবি করেন, অনেক যোগ্য প্রার্থীর নাম তালিকায় নেই। আবার অনেকেই যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়েছেন। ব্যাপক দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলা হয়। সেই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট।