নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ছোট্ট অস্মিকা। জটিল রোগে আক্রান্ত একরত্তি। তার চিকিৎসার জন্য দরকার লক্ষ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ১৭ কোটি টাকা দরকার ওই অস্মিকার চিকিৎসার জন্য। সমাজমাধ্যমে সেই অনুরোধ করা হয়েছিল। কার্যত ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্য়মে অসুস্থ শিশুর চিকিৎসার জন্য অর্থ জোগাড় করার চেষ্টা হচ্ছে। এবার সেই অসুস্থ শিশুর পাশে দাঁড়ালেন বৈদ্যবাটি পুরসভার সমস্ত দলের কাউন্সিলররা। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সমস্ত কাউন্সিলররা তাঁদের একমাসের বেতন তুলে দিলেন অস্মিকার চিকিৎসার জন্য।
🧸পুরপ্রধান, উপপ্রধানও তাঁদের একমাসের বেতন দিয়েছেন ওই শিশুর চিকিৎসার জন্য। সেই সঙ্গেই তৃণমূল, কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলররাও তাঁদের একমাসের বেতন তুলে দেন অস্মিকার জন্য।
🔴পুরসভার কাউন্সিলরদের বেতন মোটামুটি ১০ হাজার টাকা। আর পুরপ্রধান ও উপপৌরপ্রধানের একটু বেশি। তবে সমস্ত কাউন্সিলররাই তাঁদের একমাসের বেতনের টাকা তুলে দিলেন ওই শিশুর চিকিৎসার জন্য। আসলে কাউন্সিলরদের মধ্য়ে রাজনৈতিক নানা বিভেদ রয়েছে। কিন্তু সেই বিভেদ ভুলে এবার ওই শিশুর চিকিৎসার জন্য় এগিয়ে এলেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলররা। রাজনীতির অন্দরে কাদা ছোঁড়াছুড়ি হয়। কিন্তু শিশুর চিকিৎসার জন্য যে লড়াই, তাতে হাতে হাত ধরলেন সকলেই।
𝄹সব মিলিয়ে জোগাড় হয়েছে ৬ লাখ টাকা। কাইউন্সিলরদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীরাও সহায়তা করেছেন। তার জেরেই এই অর্থ এসেছে। সেই অর্থ যাচ্ছে শিশুর চিকিৎসার জন্য। তবে কেবলমাত্র বৈদ্যবাটি পুরসভাই নয়, এর আগেও বিভিন্ন জনের তরফ থেকে অস্মিকার জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।
কী হয়েছে অস্মিকার?
🐼কার্যত বিরল রোগে আক্রান্ত অস্মিকা। রোগের নাম স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফি টাইপ ১। এই রোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য় দরকার ইঞ্জেকশন। এই ইঞ্জেকশনের দাম ১৬ কোটি টাকা। তবে মধ্য়বিত্ত পরিবারের বাবা মায়ের পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব। সেকারণেই তাঁরা এই আবেদন করেন। তারপর সাড়াও দেন অনেকেই। সঙ্গীত জগতের অনেকে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য তারা সহায়তা চেয়েছেন।
﷽বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা সাধারণত স্নায়ু পেশির রোগ। সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে এর প্রভাব পড়তে পারে। শিরদাঁড়ায় প্রভাব পড়ে। জন্মানোর ৬ মাসের মধ্য়ে এই রোগ ধরা পড়তে পারে। হাঁটার ক্ষমতা চলে যায়। এই রোগ জিনগত কারণে হতে পারে বলেও মনে করা হয়।