ব্রিটিশ জমানা থেকেই জারি নিষেধাজ্ঞা। তাই আজও হাওড়া ব্রিজে ছবি তোলার অনুমতি নেই। তা সত্ত্বেও অনেকেই হাওড়া ব্রিজে সেলফি তোলেন। হাওড়া ব্রিজে দাঁড়িয়ে সংলগ্ন স্টেশন বা গঙ্গার দৃশ্যের ছবিও অনেকেই তোলেন। তবে সেতুতে নিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশের নজরে যদি পড়ে যান, তাহলে ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা? উল্লেখ্য, ১৯৪৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসন হাওড়া সেতুতে ছবি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। বর্মা দেশ দখল করে উত্তরপূর্ব ভারতের দোরগোড়ায় জাপানি সৈনিকরা। এই আবহে কলকাতায় হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কা ছিল ব্রিটিশদের মনে। এই আবহে কোনও চর যাতে হাওড়া ব্রিজের ছবি তুলে তা জাপানিদের হাতে না তুলে দিতে পারে, তার জন্যেই জারি হয়েছিল ছবি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা। (আরও পড়ুন: তীব্র গতির ব⭕লি TMC বিধায়কের গাড়ি? ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় 😼মৃত ২, হাসপাতালে আরও ৩)
আরও পড়ুন: কেমন 🌠দেখতে হতে পারে টিটাগড়ে তৈরি বন্দে ভারত স্লিপার ট্র🔯েন? ভাইরাল ছবি
আরও পড়ুন: টাকা মিলবে,কജিন্তু… রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত অর্থ দফতরের
এরর চিন এবং পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ও হাওড়া ব্রিজে ছবি তোলার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এই কারণেই অনেক সময়ই হাওড়া ব্রিজে সেলফি তুলতে গেলে বা ছবি তুলতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় অনেককেই। তবে তা সত্ত্বেও কলকাতা এবং হাওড়া মিলিয়ে হয়ত এই ব্রিজেরই সবথেকে বেশি ছবি তোলা হয়। আর স্যাটেলাইট যুগে এই ব্রিজের ছবি সব জায়গায় উপলব্ধ। তাছাড়া শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের থেকে অনুমতি নিয়ে হাওড়া ব্রিজে সিনেমার শুটিংও হয়। সেই ক্ষেত্রে 'ফি' দিতে হয়। কয়েক বছর আগে হাওড়া ব্রিজে ছবি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞ তুলে নেওয়া হতে পারে বলে রিপোর্টও প্রকাশ করেছিল টাইমস অফ ইন্ডিয়া। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়ে রিপোর্ট সামনে আসেনি। (আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম বুলেট ট্রেন তৈরি করা সংস্থার হাত ধরেই লক্ষ্মীলাভ হবে বা🏅ংলার?)
আরও পড়ুন: 'বেলডাঙায় বাংলাদেশের কায়দায় হিন্দু নিধন চলছে', মমতাকে তোপജ দেগে বিস্ফোরক সুকান্ত
আরও পড়ুন: এবার সরকারি কর্মীদের ন্যূনত বেতন বেড়ে হবে ৫১ꦅ,৪৫১? বড় দাবি খোদ JCMᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ সচিবের
এদিকে প্রায় ৪০ বছ😼র বাদে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার রাতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় সেতুতে। শনিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিট হতেই হাওড়া সিটি পুলিশের কর্মীরা হাওড়া ব্রিজে গার্ড রেল লাগিয়ে দেন। এর ফলে ব্রিজের দুটো লেনেই যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল যে রাইটস-এর পক্ষ থেকে ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সেই মতো শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে রবিবার ভোর সাড়ে চারটে পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় সেখানে। এদিন রাতে রাইটসের ইঞ্জিনিয়ারদের দীর্ঘক্ষন ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেখা যায়। জানানো হয়, ব্রিজের কম্পনের মাত্রা মাপা হয়েছে।