চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার ৬ রানে রোমাঞ্চকর জয়ের পরেও, রোহিত শর্মাদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। এর পিছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে, মিসফিল্ড করা, বোলিং পারফরম্যান্সও সকলের সমান হচ্ছে না- সব মিলিয়ে টিম ইন্ডিয়াকে নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছেই। আর এই মেগা ম্যাচে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে তো মহম্মদ সিরাজকে সমালোচনায় একেবারে ছিঁড়ে ফেলেছে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। ১৮তম ওভারের সিরাজের করা ভুꦇ🍨লের পরেই গাভাসকর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কী ভুল করেছেন সিরাজ?
রবিবার একটা সময়ে পাকিস্ত💫ানের দিকেই ম্যাচের পাল্লা ভারি ছিল। উইন প্রেডিকটরে ভারতের জয়ের সম্ভাবনা দেখানো হচ্ছিল ৮%। সেই সময়ে পাকিস্তানের ৮০ রানে ৩ উইকেট ছিল। সেই অবস্থা থেকে ম্যাচের রং বদলে দেয় টিম ইন্ডিয়া। তবে এই লড়াইটা ভারতীয় বোলারদের জন্য সহজ ছিল না। এর মধ্যে ১৮তম ওভারে বল করতে এসে সিরাজ ভুল করে বসেন। আসলে শেষ ১৮ বলে ৩০ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। হাতে ছিল ৩ উইকেট। সেই সময়ে পাকিস্তান যদি এক-আধটা বড় শট খেলে দিত, তবেই চাপ বেড়ে যেত ভারতের। ১৮তম ওভারে বল করতে এসে সিরাজ প্রথম বলে ১ রান দেন। দ্বিতীয়টায় নো-বল করে বসেন। তবে সৌভাগ্যের বিষয়, ফ্রি-হিট ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়নি। ইফতিকার ডিপ পয়েন্টে বল পাঠান। হয় ২ রান। আর বাকি চার বলে মাত্র ৫ রান দেন সিরাজ।
আরও পড়ুন: পাক ফিল্ডিংয়ের দুরবস্থা দেখে হেসে গড়াল রোহিত, হাসি চ♛াপার ব্যর্থ চেষ্টা কোহলির- ভিডিয়ো
রেগে লাল গাভাসকর
আর এই 🌠গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নো-বল করা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গাভাসকর। যদি ফ্রি-হিটে পাকিস্তান বড় শট খেলে দিত, তবে কিন্তু ভারতের কপালে দুঃখ ছিল। শুধু নো-বল করেছেন সিরাজ, তাও নয়। পঞ্চম বলে আবার ওয়াইডও করেছেন। এর সময়ে গাভাসকর ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে বলেন, এই স্তরে যে কোনও বোলারের নো-বল করাটা মানা যায় না। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। সুনী গাভাসকর দাবি করেছেন, বোলাররা জানেন যে পপিং ক্রিজ কোথায় এবং এটির উপর তাঁদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণও থাকে। তাও ওয়াইড বলের ক্ষেত্রে হাওয়া বা ব্যাটসম্যানের নড়াচড়াকে দোষারোপ করা যেতে পারে। কিন্তু নো-বল করার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
আরও পড়ুন: বিশ্বাস হারেনি… উইন প্রেডিকটরে ভারতের ৮% জয়ের সম্ভাবনার স্ক্রিনশট 🧸শেয়ার ༒করে বার্তা পন্তের
ধারাভাষ্যে সময়ে গাভাসকর বলেন, ‘এটা ক্ষমার অযোগ্য। আপনি যদি পেশাদার ক্রিকেটার হন, তাহলে আপনি যেই হোন না কেন, এই পর্যায়ে আপনি নো-বল করতে পারেন না। এতে আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকে। ওয়াইড বল সব সময়ে আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তবে নো-বলে সেটা কিন্তু থাকে। এই স্তরে নো-বল করাটা✃ অপ🔯েশাদার মানসিকতার এবং অমার্জনীয় অপরাধ। যাই ঘটুক না কেন, কোনও অজুহাতই যথেষ্ট হবে না।’