একাধারে তিনি অভিনেতা, আবার পেশায় তিনি চিকিৎসক। আরজি কর আন্দোলনের সময় থেকেই সবথেকে বেশি চর্চায় উঠে এসেছিলেন যিনি, তিনি হলেন কিঞ্জল নন্দ। আবার ব্যক্তিগত জীবনে প্রসূতি-স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নম্রতা ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেছেন কিঞ্জল। তাঁদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।
আরজি কর আন্দোলনে সক্রিয় প্রতিবাদের মুখ হিসেবে সামনে আসার পর থেকেই কিঞ্জল নন্দকে নিয়ে নানা ধরনের কথা হয়েছে। আবার, স্বামীর পাশে থাকার কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণেরও শিকার হন কিঞ্জলের স্ত্রী নম্রতা। যদিও সেসব বিতর্কই এখন অতীত। বর্তমানে কিঞ্জল ও নম্রতা দুজনেই কাজে ফিরেছেন। রবিবার স্ত্রী নম্রতার সঙ্গে রোম্য়ান্টিক ছবি পোস্ট করেছেন কিঞ্জল। ছবিতে স্ত্রীর কোমর ধরে তাকে কাছে টেনে নিতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতাকে। তবে শুধুই ছবি পোস্ট নয়, সঙ্গে একটা ছোট্ট রোম্যান্টিক কবিতাও লিখে ফেলেছেন তিনি। এই চিকিৎসক-অভিনেতা লেখেন, ‘ভালোবেসে হেঁটে চলা, ট্রাম লাইন,শব্দেরা../জলে ওঠা আলোগুলো/খাপছাড়া ,বেপরওয়া।’
এমন পোস্টে বহু নেটিজেনই কিঞ্জল ও নম্রতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘তোমাদের ভালবাসা দীর্ঘজীবি হোক। অনেক শুভেচ্ছা রইল।’ কেউ লিখেছেন, ‘ঈশ্বর তোমা, ভালবেসে ভালো থেকো’। এমন নানান মন্তব্য উঠে এসেছে এই পোস্টের নিচে। অনেকেই এই দম্পতিকে ভালোবাসা জানিয়েছেন।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ফেসবুকের পাতায় ডাক্তার স্ত্রী নম্রতার সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন কিঞ্জল নন্দ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে করেছিলেন কিঞ্জল আর নম্রতা। গতবছরের এপ্রিল মাসেই বাবা-মা হয়েছিলেন কিঞ্জল-নম্রতা। সম্প্রতি এই দম্পতি তাঁদের মেয়ের ছবিও সামনে এনেছেন।
জানিয়ে রাখা ভালো, কিঞ্জল নন্দ একজন নাট্যাভিনেতা। হীরালাল ছবিটির মাধ্যমে তিনি টলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ৮/১২, কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন, ইত্যাদি ছবি সহ একাধিক সিরিজের মাধ্যমে অল্প দিনেই নজর কেড়েছেন সবার। আবার খুব শীঘ্রই প্রসেনজিৎ ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'দেবী চৌধুরানী' ছবিতেও দেখা যাবে তাঁকে। সেই ছবিতে এই ছবিতে সব্যসাচী চক্রবর্তী হরবল্লভের চরিত্রে এবং কিঞ্জল নন্দ ব্রজেশ্বরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
প্রসঙ্গত আরজি কর আন্দোলন চলাকালীন কিছু বিজ্ঞাপন, ছবিতে কাজ করায় সেগুলো পরবর্তীতে সেগুলো প্রকাশ্যে আসার পর বিস্তর কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় কিঞ্জলকে। এমনকি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এটা নিয়ে একাধিক প্রশ্নও তোলে। তাদের তরফে আরজি করে অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানেই জানতে চাওয়া হয়, 'কতদিন ছুটি নিয়েছেন কিঞ্জল? নিয়ম মেনে নিয়েছিলেন?’
শুধু তাই নয়, আরজি কর মেডিক্যালে PGT হিসেবে কত স্টাইপেন্ড পান, বিজ্ঞাপন ও সিনেমায় অভিনয় করতে যাওয়ার আগে অনুমতি নেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্নতোলা হয়েছিল। তবে এখন যে সেসব বিতর্ক পিছনে ফেলে তিনি কাজ এবং পরিবার নিয়ে ব্যস্ত আছেন সেটা বলাই বাহুল্য।