♛ পণের দাবি ঘিরে উত্তরপ্রদেশে এমন একটি ঘটনা ঘটল, যা হতবাক করে দেওয়ার মতো। দাবি মতো পণ না দেওয়ায় গৃহবধূর শরীরে এইচআইভি সংক্রামিত সূচ দিয়ে ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে। এই ঘটনায় আদালত ৩১ বছর বয়সি ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ মহিলার স্বামী, শাশুড়ি-সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: ꧒পণের দাবি না মেটায় স্ত্রীকে খুন করল স্বামী, বাপেরবাড়ি থেকে নিয়ে এসে অত্যাচার
🎃 সাহারানপুরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সাগর জৈন জানান, নির্যাতিতা সাহারানপুরের বাসিন্দা। তাঁর শ্বশুরবাড়ির ৪ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৪৯৮এ (স্বামী বা তার আত্মীয়দের মাধ্যমে মহিলার উপর অত্যাচার), ৩২৩ (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা), ৩২৮ (বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষতি করা), ৪০৬ (বিশ্বাসের অপরাধমূলক ভঙ্গ করা) এবং পণ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারায় গাঙ্গোহ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, পণ হিসেবে অতিরিক্ত ১০ লক্ষ টাকা এবং একটি বড় এসইউভি গাড়ি দাবি করেছিল মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
🧸 জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৪ সালের মে মাসে। নির্যাতিতা মহিলার শ্বশুরবাড়ি হরিদ্বারে। মহিলার বাবা আদালতে জানিয়েছেন, তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়েতে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। বরের পরিবারকে একটি সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও তারা অতিরিক্ত ১০ লক্ষ টাকা নগদ এবং একটি বড় এসইউভি দাবি করেছিল। আর এই দাবিতে বিয়ের পর দিন থেকেই তাঁর মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। তারা তাঁরা হয়রানি শুরু করে। অপমান করার পাশাপাশি দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি দেয় তাঁর স্বামী।