পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে 'অ্যাকটিভ' করে দিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৪৮ সালের টেরিটোরিয়াল আর্মির নিয়মের ৩৩ নম্বর ধারার আওতায় যে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে, সেটা প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর তার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাকে সহায়তা করার জন্য টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রত্যেক অফিসার এবং তাতে নথিভুক্ত থাকা প্রত্যেক সদস্যকে মোতায়েন করার জন্য সেনাপ্রধানকে পূর্ণ ক্ষমতা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাউর্দান কম্যান্ড, ইস্টার্ন কম্যান্ড, ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড, সেন্ট্রাল কম্যান্ড, নর্দার্ন কম্যান্ড, সাউথ-ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড, আন্দামান ও নিকোবর কম্যান্ড, এবং আর্মি ট্রেনিং কম্যান্ডের আওতাধীন এলাকায় মোতায়েনের জন্য টেরিটোরিয়াল আর্মির ৩২টি ইনফ্র্যান্টি ব্যাটেলিয়নের মধ্যে ১৪টিকে সক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে। যে নির্দেশ ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ধোনিকে কি মোতায়েন করা হতে পারে?
আর যে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ‘অ্যাকটিভ’ করা হল, তার অফিসার হলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সাম্মানিক পদ হলেও প্রয়োজনে ধোনিকেও ময়দানে নামতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ভারতকে বলতে পারি না…...’, ট্রাম্পের ডেপুটির কথায় পাকিস্তানের মাথায় বাজ পড়ল?
ধোনিকেও সিদ্ধান্তে যেতে হতে পারে
সংবাদমাধ্যম ইটিভি ভারতের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সতীশ ধাগে জানিয়েছেন যে নিজেদের ক্ষেত্রে ভালো কাজের জন্য ধোনিদের সাম্মানিক পদ প্রদান করা হয়েছে। সাম্মানিক পদ হলেও যদি যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় বা সত্যিকারের যুদ্ধ হয়, তাহলে রিজার্ভ ফোর্সের প্রয়োজন হয়। আর সেক্ষেত্রে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ডাকা হয়ে থাকে। কারণ টেরিটোরিয়াল আর্মিও রিজার্ভ ফোর্সের আওতায় আসে। তাই যদি সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে ধোনিদের সীমান্তে যেতে হবে। আর নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
আরও পড়ুন: পুরোদমে যুদ্ধ শুরু করুন আপনারা! ভারতকে সমর্থন পাকিস্তানের ‘শত্রুর’, করল আবদারও
উচ্চপর্যায়ের বৈঠক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর
যদিও শেষপর্যন্ত কী হবে, তা সময় বলবে। এখন অবশ্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। তারইমধ্যে আজ ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং, ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশকুমার ত্রিপাঠী এবং প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশকুমার সিংয়ের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
আরও পড়ুন: এটিএম বন্ধ থাকবে ২-৩ দিন? রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারও কিনে রাখতে হবে? জানাল সরকার
ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্য আপাতত জানানো হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে যেভাবে পাকিস্তান ভারতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে, তারপরে নয়াদিল্লি কোনও পালটা পদক্ষেপ করে কিনা, সেদিকে নজর আছে সংশ্লিষ্ট মহলের। ভারত বরাবরই স্পষ্ট করে এসেছে যে ভারত হামলা করবে না। পালটা জবাব দেবে। যে কাজটা পহেলগাঁও হামলার পরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবির ধ্বংসের মাধ্যমে করেছে ভারত।