ছোটা ভীম। বাচ্চাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র। টিভিতে দেখতে পেলে আর চোখ ফেরাতে পারে না বাচ্চারা। বেশ মজার চরিত্র। আর এবার সেই ছোটা ভীমকে রেলের সঙ্গে জুড়তে চাইছে ওয়েস্টার্ন রেল। রেলের বার্তা যাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেবে ছোটা ভীম।
এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওয়েস্টার্ন রেলের সিপিআরও বিনীত অভিষেক জানিয়েছেন, ছোটা ভীম ১০০ শতাংশ ভারতীয় চরিত্র। বাচ্চাদের আনন্দ দেয়, শিক্ষা দেয়। পশ্চিম রেলওয়ে আমাদের যে লাখ লাখ যাত্রী আছে আমরা তাদের পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। তাদের কাছে নানা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। সুরক্ষা সংক্রান্ত নানা বার্তা আমরা দিই। গতবছর মন কী বাতে প্রধানমন্ত্রী ছোটা ভীম অ্যানিমেশন ক্য়ারেক্টারের প্রশংসা করেছিলেন। কীভাবে এই চরিত্র বাচ্চাদের মধ্যে পৌঁছে গেছে। সেই সময় আমাদের মনে হল, আমরাও তো ছোটা ভীমের সঙ্গে জুড়তে পারি। যাত্রীদের কাছে বার্তাগুলো আরও ভালো ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে। আমরা যে যাত্রীদের কাছে পৌঁছতাম তারা বয়সে বড়। পড়ুয়ারাও আমাদের যাত্রী। তবে ছোটা ভীম বাচ্চাদের কাছে পৌঁছায়। আর তার মাধ্যমে তারা অভিভাবকদের কাছে মেসেজ দিতে পারবে। অভিভাবকরা বাচ্চাদের কথা শোনে। সেফটির যে মেসেজ আছে সেগুলি যদি বাচ্চাদের কাছে যায় আর তারা যদি তাদের অভিভাবকদের কাছে বলে তবে আমাদের আশা আরও বেশি মানুষ আমাদের পরামর্শ, তথ্য় আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছবে। ছোটা ভীমের মাধ্য়মে আরও বেশি সংখ্য়ক মানুষের কাছে যাবে আমাদের দেওয়া তথ্য়। এবার ছোটা ভীম আর পশ্চিম রেলওয়ে একসঙ্গে, এক মঞ্চে আসবে। জানিয়ে দিলেন পশ্চিম রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।
সূত্রের খবর, আসলে ছোটা ভীম চরিত্রটি বাচ্চাদের অত্যন্ত প্রিয়। সেক্ষেত্রে সেই ছোটা ভীমের মাধ্য়মে কোনও বার্তা যদি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দেয় তাহলে তা সহজেই বাচ্চাদের কাছে যাবে। এদিকে সেই বার্তা আবার বাচ্চাদের থেকে সহজেই অভিভাবকদের কাছে চলে যাবে।
সেকারণেই এবার ছোটা ভীম চরিত্রকে কাজে লাগিয়ে রেলওয়ে তাদের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে দিতে চাইছে। অর্থাৎ কোনও আকর্ষনীয় ক্যাপশন, কোনও বার্তা সেটা ছোটা ভীমের মাধ্য়মে দিতে তা সহজেই মুখস্থ হয়ে যাবে বাচ্চাদের। সেটা বার বার অভিভাবকদের সামনে বললে সেই বার্তা চলে যাবে অভিভাবকদের মধ্য়েও। তারাই তো রোজ ট্রেনে চাপছেন। কর্মস্থলে যাচ্ছেন।