জম্মু–কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে। আর তাই এখন ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ু সেনা। তবে এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অগ্নিবীরে’ যোগ দিতে গেলেন ময়নাগুড়ির তরুণ। উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির সাতভেন্ডির তরুণ মনোরঞ্জন রায়। গর্বিত গ্রামবাসী তাঁর যাওয়ার দিনে মালা পরিয়ে এবং ফুল উপহার দিয়ে জানাল শুভেচ্ছা। চোখে জল পরিবারের।
যুদ্ধের পরিস্থিতিতে জয়লাভ করে বাড়ি ফিরুক মনোরঞ্জন রায় এটাই সবাই কামনা করছেন। এখন শত্রুদেশ পাকিস্তান গোলাগুলি চালাচ্ছে। তাতে যেন কোনও ক্ষতি না হয় মনোরঞ্জনের। এই কথা ভেবে পরিবারের সদস্যদের চোখে জল নেমে এল। তবে ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি সংলগ্ন পূর্ব সাতভেন্ডি এলাকার বাসিন্দা ও ১৮ বছরের তরুণ মনোরঞ্জন রায় যেন এমনই চেয়েছিলেন। ছোট থেকেই মনোরঞ্জনের স্বপ্ন ছিল ভারতীয় সেনায় যোগদান করার। আর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে কঠোর পরিশ্রম করেন মনোরঞ্জন। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে তাঁর। তাঁর কঠোর পরিশ্রমের পর সফলতা এসেছে। তাঁর বাবা বাবলু রায় পেশায় কৃষক। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ছেলের এই স্বপ্ন সফল হওয়ায় তিনিও খুশি।
আরও পড়ুন: কালোবাজারি রুখতে আজ বর্ধমানের বাজারে হানা দিল টাস্ক ফোর্স, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ
অগ্নিবীরে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে মনোরঞ্জন রায়। এই তরুণ তুর্কি বেঙ্গালুরুতে গিয়ে যোগদান করবে। তাঁর ভারতীয় সেনাবাহিনীর যোগদানে খুশি তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে এলাকাবাসী। কিন্তু মন অজানা আতঙ্কে ডুগরে উঠছে। দেশের সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা আছে বলেই আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি। এমনকী এখন এই পরিস্থিতিতেও দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে রয়েছেন। আর মনোরঞ্জন রায় দেশসেবার জন্য সেনাবাহিনীর কাজে যোগদান করতে যাওয়ায় খুশি তাঁর বাবা–মা। গোপন না করেই মনোরঞ্জনের বাবা জানিয়েছেন, এটা তাঁর কাছে একটা গর্বের দিন।
বেঙ্গালুরুতে যোগদান এবং তারপর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর নিজেকে দেশের সেবায় নিয়োজিত করবেন। আর মনোরঞ্জন রায়ের এই সাফল্যে একদিকে যেমন খুশি তাঁর পরিবার অপরদিকে খুশি তাঁর গ্রামের লোক। গোটা গ্রাম মনোরঞ্জনের যাওয়ার দিন জড়ো হয়েছিল তাঁদের বাড়িতে। কারও হাতে ফুল, তো আবার কারও হাতে মালা। কেউ এনেছেন পথে খাওয়ার জন্য মিষ্টি। এইসব দেখে মনোরঞ্জন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তবে সকলকে প্রণাম করে দেশের সেবা করতে রওনা দিলেন মনোরঞ্জন। সঙ্গে থাকল একরাশ শুভেচ্ছা।