কদিন আগেই মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান অশান্তিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে পড়ে ছিল। সেখানে নামাতে হয়েছিল আধা সেনা এবং বিশাল পুলিশ ফোর্স। এখন সেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই সামশেরগঞ্জে টোটোচালক খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ সামনে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ আজ, শুক্রবার সকালে ফিডার ক্যানাল সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। কে বা কারা খুন করল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আজ যখন প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়ে ছিলেন গ্রামবাসীরা তখন বিষয়টি নজরে আসে। এই দৃশ্য যাঁরা দেখেন তাঁরা শিউরে ওঠেন। তাঁদের থেকেই গোটা ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে এলেকায়। ইতিমধ্যেই এই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ গোটা ঘটনার। কিন্তু এই নৃশংসতার পিছনে কে বা কারা আছে? সেটা জানতেই নেমেছে পুলিশ। এই টোটোচালক যুবক এলাকায় বেশ পরিচিত। কারও সঙ্গে গোলমাল ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানেন না। চার সন্তানের বাবা ডালিম শেখ।
আরও পড়ুন: সাম্বায় ৭ জইশ জঙ্গিকে নিকেশ করল বিএসএফ, অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে জবাব
স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা ওই টোটোচালক যুবক। রোজকার মতোই গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই টোটোচালক। কিন্তু বেশি রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি ওই যুবক টোটোচালক। পরিবারের সদস্যরা বারবার ফোনে ধরার চেষ্টা করলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তখন থেকেই চিন্তা হতে শুরু করে সকলের। প্রবল উদ্বেগেই রাত কাটে পরিবারের সদস্যদের। আর সকাল হতেই ফিডার ক্যানাল সংলগ্ন এলাকায় উদ্ধার হয় ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে খবর দেয় থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই টোটোচালকের নাম ডালিম শেখ (২৮)। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিক তদন্তে খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে কেন খুন করা হল? সেটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। এই টোটোচালক যুবককে অন্যত্র খুন করে এখানে ফেলা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ফিডার ক্যানেল সংলগ্ন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয় দেহ। পুরনো শত্রুতা থেকে এই খুন কিনা বোঝা যাচ্ছে না।