আবার অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হল সামশেরগঞ্জে। আজ, সোমবার বোমা বিস্ফোরণে হাত উড়ে গেল এক শিশুকন্যার বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নতুন করে আতঙ্কের পাশাপাশি ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল। আর উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ। ওই শিশুকন্যাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ওই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৮টি তাজা বোমা।
কদিন আগে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল সামশেরগঞ্জ। তাতে রাজ্য–রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। হিংসার বাতাবরণে বাবা–ছেলে খুন হয়েছিল এখানেই। আধাসেনা এবং পুলিশের বিশাল টিম নেমে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনে। তারপর আবার দোকানপাট, বাজারহাট, স্কুল–কলেজ খুলেছে। কিন্তু এই ঘটনা আবার আতঙ্ক তৈরি করল। আজ, সোমবার সামশেরগঞ্জ থানার মালঞ্চ সিংপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হল ৬ বছরের এক শিশুকন্যা বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। বিস্ফোরণে তার হাত উড়ে গিয়েছে বলে খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন: পাঁচটি পঞ্চায়েত জিতে অসমে শক্তি বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেস, এক্সে অভিষেকের শুভেচ্ছা
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ ওই শিশুটি আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিল। সেখানে সে রঙিন বস্তু দেখতে পায়। গোলাকার হওয়ায় খেলার বল মনে করেছিল সরল শিশুকন্যা। তাই সে তা হাতে তুলে নেয়। আর তখনই বিস্ফোরণ ঘটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। আর সেখানেই চিকিৎসা চলছে ওই শিশুটির। তারপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। আর চিরুণী তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৮টি রঙিন তাজা বোমা উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কারা এই বোমাগুলি আমবাগানে রেখে গিয়েছিল সেটা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। এই বিষয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার অমিত কুমার সাউ বলেন, ‘এই ঘটনায় কারা জড়িত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।’ গত একমাস ধরে উত্তপ্ত এই সামশেরগঞ্জ। বাবা ও ছেলেকে বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে খুন করেছিল। গুলিতে জখম হওয়া ৮জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ঘটনাস্থলে এসে এলাকায় শান্তি ফেরানোর আশ্বাস দেন। তখন থেকে ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরতে শুরু করেন। এবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।