বাংলাদেশে এখন অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর তার জেরে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় নাগরিকরা চলে আসছে। এমনকী বহু জঙ্গিও এপারে এসে ধরা পড়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের দিন কুমিল্লায় ভাষা শহিদ স্মারক ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু এই অবৈধ অনুপ্রবেশ কেমন করে ঘটত? এটাই ছিল সকলের কাছে বড় প্রশ্ন। এবার সেটা সামনে এসেছে। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে অর্থের বিনিময়ে বাংলಌাদেশিদের ভারতে প্রবেশ করাতো বিপুল অধিকারী। এই ব্যক্তি আজ গ্রেফতার হয়েছে।
আজ, শনিবার এনজেপি থানার পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল অবৈধ অনুপ্রবেশের মূল ‘লিংক ম্যান’ বিপুল অধিকারী। বাংলাদেশ থেকে এপারে নিয়ে আসত নাগরিকদের। আর তারপর এখানে আশ্রয় দেওয়ার কাজও করত। বিনিময়ে নিত মোটা টᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚাকা বলে অভিযোগ। এভাবেই ওপার বাংলা থেকে অবৈধ পথে এপারে ভিড় বাড়ছিল। তবে কেউ ধরা পড়ে গেলে সে দায়িত্ব নিত না ‘লিংক ম্যান’ বিপুল অধিকারী। ওপার বাংলায় লোক আছে যে ফোনে জানিয়ে দিত বাংলাদেশি নাগরিককে ওপারে নিয়ে যেতে হবে। সেই ফোন পেয়ে ঘুঁটি সাজিয়ে ফেলত ‘লিংক ম্যান’ বিপুল অধিকারী। তারপরই রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশ ঘটত বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার জাল ওষুধ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যে, গ্রেফতার একজন, হাওড়ায় চক্রের পর্দাফাঁস
গত ২৩ জানুয়ারি ফুলবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই বাংলাদেশি নাগরিককে। যারা অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ করেছিল। এই ফুলবাড়ির আমাইদিঘি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। যাদের মধ্যে একজনের নাম আতাউর রহমান। আতাউর বাংলাদেশের ঠাকুরগঞ্জ জেলার মাধবপুরের বাসিন্দা। দ্বিতীয়জন আতাউরের আত্মীয় ফিরদৌস আলম। ফিরদৌসের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে। সেদিন ফুলবাড়ির আমাইদিঘি থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় বিপুল অধিকারী। কিন্তু ওই দু’জনের মুখ থেকে নাম বেরিয়ে এসেছিল ‘লিংক ম🌜্যান’ বিপুল অধিকারীর। আর ধৃত দু’জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় হাইড্রোলিক কাটার–সহ একাধিক তার কাটার সরঞ্জাম।
সে যাত্রায় বিপুল বেঁচে গেলেও পুলিশ তাকে ধরার জন্য তক্কে তক্কে ছিল। এরপর ওই দুই ধৃতদের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে তাদের ম্যারাথন জেরা করা হয়। তখনই নাম সামনে আসে লিঙ্ক ম্যান বিপুল অধিকারীর। এই বিপুলের বাড়ি হলদিবাড়ির মানিকগঞ্জের অধিকারী পাড়ায়। পুলিশ জানতে পারে এই ‘লিংক ম্যান’ বিপুল অধিকারীই তাদের ভারতে আসতে সাহায্য করেছে। প্রায় একমাস ধরে চিরুনী তল্লাশির পর অবশেষে ওই লিংক ম্যান বিপুল অধিকারীকে গ্রেফতার করে এনজেপি থানার পুলিশ। ধৃতকে তꦗদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে শনিবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়।