বিরাট কোহলি হঠাৎ করে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর থেকেই এমন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর ছিল, এই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অবসর নিতে চাননি, কিন্তু বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যার পরে গৌতম গম্ভীরের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সংবাদমাধ্যমের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, বিরাট কোহলি দলের বর্তমান পরিবেশ নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না। যে কারণে তড়িঘড়ি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি একেবারেই আগের মতো ছিল না, যে কারণে বিরাটকে এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।
বিরাটের অবসর, গম্ভীরকে নিয়ে প্রশ্ন?
ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুসারে, বিরাট কোহলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে বলেছিল যে, তাঁরা একজন নতুন খেলোয়াড়কে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিতে চায়। বিরাট কোহলি বর্তমান ব্যবস্থাপনায় খুশি ছিলেন না, কারণ তিনি তাঁর প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা এবং পরিবেশ পাচ্ছিলেন না। প্রসঙ্গত, গত বছরই গৌতম গম্ভীর টিম ইন্ডিয়ার কোচিংয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং তার পর থেকে পরিবেশ অনেক বদলে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। অস্ট্রেলিয়া সফরের শেষ টেস্টে, তৎকালীন অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজেকে বাদ দিয়েছিলেন, যা বেশ অবাক করার মতো ঘটনা ছিল। সেই টেস্টে জসপ্রীত বুমরাহ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্র্যাকটিস ম্যাচ মোটেও খেলতে চাইতেন না… কোহলিকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি ভারতের প্রাক্তন কোচের
রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন বিরাট
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বিরাট কোহলি অবসর নেওয়ার আগে রবি শাস্ত্রীর সাথে কথা বলেছিলেন। বিরাট কোহলি বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সচিব জয় শাহের সঙ্গেও কথা বলেছেন। এই সময় ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব চলছিল বলে, বিরাট বিসিসিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনও বৈঠক করতে পারেননি। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, বিরাট বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের সঙ্গে দু'বার ফোনে কথা বলেছেন এবং এই দু'টি ফোন কলের পরেও, বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাননি। তাঁকে আটকাতে পারেননি বা চাননি অজিত আগরকর।
আরও পড়ুন: রোহিত, কোহলির বিদায় মঞ্চ এমনটা হওয়া উচিত ছিল না… BCCI-কে ঝেড়ে কাপড় পরালেন অনিল কুম্বলে
কুম্বলের দাবি, যা ঘটেছে, সেটা ঠিক নয়
বিরাট এবং রোহিতের এই ভাবে অবসরকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলে। তাঁর মতে, দুই খেলোয়াড়েরই একটি বিদায়ী ম্যাচ পাওয়া উচিত ছিল। কুম্বলে বিশ্বাস করেন যে, যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের এর জন্য জবাবদিহি করা উচিত। কুম্বলের মতে, এত বড় দুই খেলোয়াড় হঠাৎ করে টেস্ট ফরম্যাটকে বিদায় জানানোয় দলের উপর খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।