রবিবার দিল্লিতে অবস্থিত সিআরপিএফ স্কুলে বিস্ফোরণের তদন্তে নয়া মোড়। এই ঘটনায় খলিস্তানি যোগ থাকতে পারে কি না, সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, এই ঘটনার কারণ জানতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন তদন্তারী সংস্থা একত্রিত তদন্ত চালাচ্ছে। এরই মাঝে সামনে এল এই খলিস্তানি যোগের সম্ভাবনার কথা। উল্লেখ্য, বিগত দিনে খলিস্তান ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরই মাঝে আবার একাধিক উড়ান বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার উড়ো হুমকি এসেছে গত কয়েকদিনে। এরই মাঝে দিল্লির এই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাই খলিস্তানি যোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। (আরও পড়ুন: ꦛ'এটা খুন', শব্দবাজিতে মৃত্যু মহুয়ার উদ্ধার করা কুকুরের, পুলিশকে তোপ TMC সাংসদের)
আরও পড়ুন: 🌺নিজ্জর খুন মামলায় 'হওয়ায় ভাসছে' কানাডা? ট্রুডোর কীর্তি ফাঁস হাইকমিশনারের
🦹 দিল্লির বিস্ফোরণের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে যে খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় এজেন্টদের অপারেশনের প্রতিশোধ নিতে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় 'খলিস্তান জিন্দাবাদ' ওয়াটারমার্ক আছে। তাতে বলা হয়েছে, 'যদি ভারতের কাপুরুষ এজেন্সি মনে করে যে তারা গুন্ডা পাঠিয়ে আমাদের সদস্যদের চুপ করাতে পারবে, তাহলে তারা মূর্খের জগতে বাস করছে। তারা চিন্তাও করতে পারবে না যে আমরা তাদের কথা চাছে আছি এবং যেকোনও সময় হামলা চালাতে পারি।'
𝓡 উল্লেখ্য, দিল্লির রোহিনী জেলার প্রশান্ত বিহার এলাকায় অবস্থিত সিআরপিএফ-এর এক স্কুলের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটে ২০ অক্টোবরের সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, কর্তপক্ষকে 'বার্তা' দিতেই এই বিস্ফোরণ করানো হয়েছে। এই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এছাড়াও এই মামলার তদন্তে নেমেছে এনআইএ। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, সিআরপিএফ, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি-ও তদন্ত শুরু করেছে এই ঘটনা। কে বা কারা ওই বিস্ফোরক রেখেছিল, তাদের শনাক্ত করতে বিস্ফোরণস্থলের আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। সিআরপিএফ স্কুলের আশেপাশে থাকা মোবাইল টাওয়ারগুলি থেকেও তথ্য সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।