লোকসভায় পেশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল।
আর ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংসদে বিরোধীদের একহাত নিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত🍷্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি ওয়াকফে একজনও নন মুসলিম আসবেন না। কার্যত আশ্বস্ত করলেন তিনি।
অমিত শাহ বলেন, ‘দেশ ভেঙে দেবেন আপনারা( বিরোধীরা)। দেশ ভেঙে দেবেন আপনারা। আমরা দেশের মুসলমান ভাই ও বোনকে এই হাউস থেকে বলছি আপনাদের ওয়াকফে একজনও নন মুসলিম আসবেন না। এই অ্যাক্টে কোনও ব্যবস্থা নেই। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ড ও ওয়াকফ পরিষদ কী করবে? ওয়াকফ সম্পত্তি যারা বিক্রি করে খাচ্ছে তাদেরকে তাড়ানো হবে। ওয়াকফের নাম করে যারা ১০০ বছর ধরে ভাড়া দিয়েছেন সম্পত্তি তাদের ধরা হবে। ওয়াকফ থেকে যে আয় হত সেটা এবার পড়ে যাবে। সেটার মাধ্য়মে ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।এই টাকা যে চুরি হয় সেটা ধরার ব্যবস্থা করবে ওয়াকফ বোর্ড। ওরা চাইছে ওদের মাধ্যমে যে কাজ হত সেটা যেন চলতেই থাক🐻ে। কিন্তু সেটা চলবে না।’
কার্যত ওয়াকফক﷽ে ভাঙিয়ে যারা অসৎ পথে আয় করতেন তাদেরকে সতর্ক করলেন শাহ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ওয়াকফ সম্পত্তি যারা বিক্রি করে খাচ্ছে তাদেরকে তাড়ানো হবে। ওয়াকফের নাম করে যারা ১০০ বছর ধরে ভাﷺড়া দিয়েছেন সম্পত্তি তাদের ধরা হবে। ওয়াকফ থেকে যে আয় হত সেটা এবার পড়ে যাবে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ওয়াকফের অর্থ দিয়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের উন্নতি করা হবꦺে।
তবে বিরোধীরা অবশ্য সুর চড়িয়েছেন।
লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে আমি বলতে চাই, তৃণমূল কংগ্রেস এই ওয়াকফ সংশোধী বিলের বিরোধিতা করছে। আমার বক্তব্যের মূল স্পিরিট হল - তু না হিন্দু বনেগা, না মুসলমান বনেগা, ইনসানকি অউলাদ হ্যায়, ইনসান বনেগা (না হিন্দু হবেন, না মুসলিম হবেন। মানুষের সন্তান, মানুষ হতে হবে)। বর্তমানের এই বিলটি ওয়াকফের দু'টি বিষয়ের ওপর নজর দেয়। ওয়াকফের এক🐎টি কাজ হল মুসলিমদের ধর্মীয় আচার-বিচারের পরিচালনা করা, এবং দ্বিতীয় হল রাজ্য সরকারকে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ মেটানোর অধিকার দেওয়া।'