আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে মধ্যপ্রদেশে বছরে দু'বার দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া হবে। এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে মধ্যপ্রদেশের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল।এ বছর দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে সার্বিক পাশের হার দেখা গেছে। দশম শ্রেণীতে পাশের হার ৭৬.২২ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশ বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণীতে পাশের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.৪৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন-গোটা গাজা উপত্যকা দখল করবে ইজরায়েল! কীসের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর?
মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আগামী বছর থেকে মধ্যপ্রদেশ বোর্ড পরীক্ষা দু'বার নেওয়া হবে।এই ঘোষণা জাতীয় শিক্ষা নীতি-এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।' মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই বছর বোর্ড পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও ঘটনা ঘটেনি এবং কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। এছাড়াও, জালিয়াতির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে মাত্র ৪০ থেকে ৪৫টিতে দাঁড়িয়েছে। এ বছর চিত্রকূটের প্রিয়ল দ্বিবেদী এমপি বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ৫০০-এর মধ্যে ৪৯২ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে। অন্যদিকে, দশম শ্রেণীতে সিংরাউলির প্রজ্ঞা জয়সওয়াল পুরো ৫০০ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। (আরও পড়ুন: একাধিক ফ্ল্যাট-জমির মালিক, পরবর্তী CJI -র সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?)
ফলাফল অনুসারে, মধ্যপ্রদেশের বেসরকারি স্কুলগুলিকে ছাপিয়ে গেছে সরকারি স্কুলগুলি। উভয় শ্রেণীতেই মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। দশম শ্রেণীতে ২১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৪ জন ছাত্রী মেধা তালিকায় রয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণীতে ১৫৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯০ জনই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে শুকিয়ে দিতে বন্ধ বাঁধ, নদীর অবস্থা এখন কেমন? দেখুন চেনাবের ছবি
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) জানিয়েছিল, ২০২৬ সাল থেকে বছরে দু'বার দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।খসড়া ইতিমধ্যেই অনুমোদন করা হয়েছে। অংশীদাররা ৯ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত জমা দিতে পারবেন। এরপরেই নীতি চূড়ান্ত করা হবে।নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) সুপারিশ করেছে, বোর্ড পরীক্ষার ঝুঁকি কমানোর জন্য সমস্ত শিক্ষার্থীকে যে কোনও শিক্ষাবর্ষে সর্বোচ্চ দু'বার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। বোর্ড স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই ব্যবস্থার অধীনে কোনও অতিরিক্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে না। যদি শিক্ষার্থীরা চায় নিজেদের নম্বর আরও ভাল করতে তাহলে তারা চাইলেই পরীক্ষায় বসতে পারবে। এবার সেই পন্থায় অনুসরণ করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।