রেজাউল লস্করভারত এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যকার অভিবাসন চুক্তি এবং প্রস্তাবিত অভিবাসন সংক্রান্ত নয়া ব্রিটিশ আইনের ফলে ভারতীয় প্রফেশনালরা আরও সহজে যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন এবং যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়া ভারতীয় অপরাধীদের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়াও আরও সহজ হয়ে যাবে। সোমবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল। এদিকে নির্দিষ্ট ভাবে বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদীর প্রত্যর্পণের বিষয়ে প্রীতি প্যাটেল জানান যে আইনি প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। সঠিক ফলের অপেক্ষাতেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।গত ৪ মে ভারত-যুক্তরাজ্য ভআরচুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিনই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল অভিবা,ন চুক্তিতে সই করেন। প্রীতি প্যাটেলের দাবি, এই চুক্তির ফলে প্রতি বছর ব্রিটেনে কাজ করতে চাওয়া প্রায় ৩ হাজার ভারতীয় সহজেই যুক্তরাজ্যে এসে কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া বেআইনি অভিবাসী বা পলাতক অপরাধীদের ভারতে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।এদিন হিন্দুস্তান টাইমসকে প্রীতি প্যাটেল বলেন, 'আমাদের সবার উচিত বরিস জনসন এবং নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানানো। এই দুই রাষ্ট্রনেতার দূরদর্শিতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার ফলেই দুই দেশ এত কাছে এসে একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে পারছে। তাছাড়া অমিত শাহ এবং আমি নিজেও এই বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। এর ফলে আমাদের দুই দেশই উপকৃত হবে। আমরা যা করছি তা অভূতপূর্ব। এটি ২০৩০ রোডম্যাপের পথ সুগম করছে এবং আমরা একে অপরের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চাই।'এদিকে দুই দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অভিবাসন চুক্তিটি ২০২২ সালের এপ্রিলের আগেই কার্যকর করা হবে। এই বিষয়ে প্রীতি প্যাটেল বলেন, 'আমরা যখন নয়া অভিবাসন ব্যবস্থা (গত বছর ব্রিটেনে চালু হয়েছে) সংক্রান্ত সংখ্যা প্রকাশ করব, তখন স্পষ্টত দেখা যাবে যে ভারত এই ব্যবস্থা থেকে সব থেকে বেশি সুবিধা পাচ্ছে।' এছাড়া ব্রিটেন যে বেআইনি অভিবাসীদের প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত আইন আনতে চলেছে, তাও জানান প্রীতি।প্রীতি মেনে নেন যে বর্তমানে ব্রিটেন থেকে প্রত্যর্পণের বিষয়টি খুব জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। তিনি বলেন, 'আমাদের এখআনে অনেক আইনি বাধা রয়েছে। আমি কিছু সুগার-কোট করে বলতে চাই না। এই আইনি জটিলতাগুলো আদালতে গড়ায়। এরপর আবেদনের মেরি-গো রাউন্ড চলতে থাকে।' উল্লেখ্য, বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদীর ক্ষেত্রেও এই একই ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে ব্রিটিশ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও তাদের ভারতে নিয়ে আসা যায়নি। তবে এই প্রত্যর্পণগুলির প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান প্রীতি।এর আগে ১৫ এপ্রিল নীরব মোদীর প্রত্যর্পণের নির্দেশে সই করেছিলেন প্রীতি প্যাটেল। তবে এরপর সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন নীরব। সেই প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সকরারও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান প্রীতি। তবে এই বিষয়ে আর কিছু তিনি বলতে পারবেন না বলে জানান প্রীতি। বিজয় মালিয়ার প্রত্যর্পণ নিয়েও কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।